Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

1 8

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

 

গর্ভাবস্থায় জাফরান

মাতৃত্ব বা গর্ভাবস্থা শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত । অনেকেই প্রশ্ন করেন গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি, গর্ভকালীন সময়ে জাফরান কতটা নিরাপদ, জাফরান ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে । আজকের পোস্ট গর্ভাবস্থায় জাফরান সম্পর্কে, যা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

তাহলে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক জাফরান এর গুনাগুন সম্পর্কে । এর উপকারিতা, অপকারিতা, কখন খাওয়া উচিত ইত্যাদি সম্পর্কে চলুন জেনে নেই ।

ভূমিকা- গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো। তার আগে কিছু কথা আপনাদের উদ্দেশ্যে বলে নেই। প্রতিটি জিনিসের খারাপ এবং ভালো উভয় দিক রয়েছে।
আমরা যদি ভালো কাজে ব্যবহার করি তাহলে তা আমাদের জন্য ভালো হবে। অন্যথায় তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবে। জাফরান এর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটি। জাফরান আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু তা নির্দিষ্ট পরিমানের জন্য।
যদি আমরা পরিমানের বাইরে জাফরান সেবন করে থাকি তাহলে অবশ্যই তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবে। তাই জাফরান সেবনের পূর্বে লক্ষ্য রাখা উচিত তা যেন পরিমানমত সেবন করা হয়।

গর্ভকালীন সময়ে জাফরান কতটা নিরাপদ

যদি গর্ভকালীন সময়ে জাফরান সঠিক পরিমাণে খাওয়া যায়, তবে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ । কিন্তু এই সময়ে জাফরান অতিরিক্ত খেলে শরীর ও মনে খারাপ প্রভাব পড়ে । সে ক্ষেত্রে এটি সঠিক ব্যবহারের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে ।
যদি আমরা গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্বন্ধে আমাদের সঠিক ধারণা থাকে তাহলে আমরা অনেক উপকার পাব ।  সঠিক পরিমাণে জাফরান ব্যবহার করলে গর্ভাবস্থায় এটি ব্যাপক কাজে দেয় ।
গর্ভকালীন সময়ে জাফরান কতটা নিরাপদ
গর্ভকালীন সময়ে জাফরান কতটা নিরাপদ

জাফরান ব্যবহারের নিয়ম

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানা উচিত জাফরান কিভাবে এবং কতটুকু ব্যবহার করতে হয় । প্র
তিদিন ১৫-৩০ বা ২০-৩৫ মিলিগ্রাম জাফরান ব্যবহার করা নিরাপদ এবং এই জাফরানের ব্যবহার শুরু করা যেতে পারে গর্ভকালীন সময় যখন দ্বিতীয় বা তৃতীয় মাস হবে তখন ।
গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের দিকে জাফরান ব্যবহার করা নিষেধ । কারন এই সময়ে জাফরান গর্ভপাতের ঝুকি বাড়ায় । তবে জাফরান সেবন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে ।

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা

আমরা আগেই জেনেছি যে গর্ভকালীন সময়ে যদি নিয়ম মেনে জাফরান সেবন করা যায় তবে এটি অনেক উপকারে আসে । গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদির মধ্যে অপকারিতা থেকে উপকারিতাই বেশি ।

জাফরান যে উপকারগুলো করে তা হলোঃ

  • খিটখিটে মেজাজ ভালো করেঃ গর্ভকালীন সময়ে হরমোনের পরিবর্তনের কারনে মেজাজ অনেক খিটখিটে হয় । এই সময় জাফরান সেবন করলে একজন ব্যাক্তি ভালো অনুভব করবে । কারন এই সময় জাফরান খেলে মানসিক চাপ ও বিষন্নতা কাটিয়ে ওঠা যায় ।
  • ঘুমের ক্ষেত্রেঃ গর্ভকালীন সময়ে প্রায় সব নারীরা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন । আর আমরা জানি যে, এ সময় জাফরান দুধ খেলে ঘুম অনেক ভালো হয় ।
  • গর্ভে শিশুর যে উপকার করেঃ গর্ভাবস্থায় শিশুর নড়াচড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আমরা জানি যে জাফরান শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গর্ভাবস্থায় যখন কোন নারী জাফরান সেবন করে, তখন এটি শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং তার ফলে শিশু পেটের ভিতর নড়াচড়া শুরু করে ।
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ আমরা জানি, জাফরানে রয়েছে ক্রোসেটিন এবং পটাশিয়াম । এই দুই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে । তাই গর্ভাবস্থায় যদি কোন মহিলার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তবে তিনি নির্দ্বিধায় জাফরান সেবন করতে পারেন ।
  • মর্নিং সিকনেসঃ গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের বমি, অলসবোধ এবং বমি বমি ভাব হয় । এ সময় জাফরান সেবন করলে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
  • চুল পড়া রোধঃ আমরা আগে জেনেছি যে গর্ব অবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয় । যার কারণে এই সময়ে মহিলাদের চুল ঝরে পড়তে পারে । এ অবস্থায় দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল পড়া কমে যায় ।
  • এলার্জি দূর করতেঃ গর্ভকালীন সময় মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । যার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন অ্যালার্জি ও সংক্রমণ জাতীয় রোগ হয়ে থাকে । এ সময় যদি মহিলারা দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে ।
  • হৃদপিন্ডের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়ঃ আমাদের দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে হৃদপিন্ডে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে । অন্যদিকে জাফরানে পটাশিয়াম, ক্রসেটিন এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে । যার ফলে গর্ভাবস্থায় জাফরান হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
  • অন্যান্য উপকারিতাঃ গর্ভাবস্থায় জাফরান মহিলাদের শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং দেহে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে । গর্ভকালীন সময়ে ত্বকে ব্রণ হতে পারে । জাফরানের ব্যবহার এই সমস্যার সমাধান করে ।
আরও পড়ুন  বেস্ট ক্যাপশন বাংলা-ফেসবুক স্ট্যাটাস ক্যাপশন

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর অপকারিতা

যদি গর্ভকালীন সময়ে জাফরান সঠিক পরিমাণে খাওয়া যায়, তবে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ । কিন্তু এই সময়ে জাফরান অতিরিক্ত খেলে শরীর ও মনে খারাপ প্রভাব পড়ে । গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের দিকে জাফরান ব্যবহার করা নিষেধ ।
কারন এই সময়ে জাফরান গর্ভপাতের ঝুকি বাড়ায় । গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে উক্ত অপকারিতাগুলো সাধারণত ঘটে থাকে ।  তবে জাফরান সেবন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে ।

বাচ্চাদের জাফরান খাওয়ালে কি হয়

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়গুলোর মধ্যে আরেকটি বিষয় হলো শিশুর বিকাশের জন্য জাফরান কতটা উপকারী । শিশুর বিকাশের জন্য জাফরান খুব উপকারী । 

 
এটি হাড় মজবুত করে, দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে এবং হাড় গঠনে সাহায্য করে । শিশু অবস্থায় একজন শিশুর ঘুমের প্রয়োজন হয় অনেক বেশি । জাফরান সে ঘুমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে ।
জাফরান

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি । গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা প্রায় সময় জাফরান খেয়ে থাকেন । আজকের আলোচনায় জাফরান সম্পর্কে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জাফরান সম্পর্কে যথাযথ তথ্য পেয়েছেন । আমাদের এই আর্টিকেল যদি আপনার একটু হলেও কাজে আসে তবে আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক ।
আমরা এর পাশাপাশি আপনাদের কাজে আসবে এইরকম আরো নানা রকমের পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করে থাকি । নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ ।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.