Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ঋণ গ্রহণের আগে জানুন: গুরুত্বপূর্ণ টিপস ও পরামর্শ

0 3

Table of Contents

ঋণ গ্রহণের আগে জানুন: গুরুত্বপূর্ণ টিপস ও পরামর্শ

 

ঋণ গ্রহণের আগে জানুন

বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণের জন্য ঋণ গ্রহণ একটি সাধারণ প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়ি নির্মাণ, শিক্ষা বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তার জন্য ঋণ গ্রহণের প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। তবে ঋণ গ্রহণের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরি, যা ঋণগ্রহীতাকে ভবিষ্যতে আর্থিক সমস্যায় পড়া থেকে রক্ষা করতে পারে। ঋণের ধরন, শর্তাবলী, সুদের হার, এবং বিভিন্ন ব্যতিক্রমী বিষয়গুলি নিয়ে পূর্বধারণা থাকলে সঠিক ঋণ পরিকল্পনা করা সহজ হয়।

ঋণ গ্রহণের আগে জানুন                                                                                                                                                 এখানে ঋণ গ্রহণের আগে যেসব টিপস এবং পরামর্শ আপনাকে মানতে হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. ঋণের প্রকারভেদ বোঝা

ঋণ গ্রহণের আগে প্রথমেই জানতে হবে কোন ধরনের ঋণ আপনার জন্য সঠিক। সাধারণত ঋণকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  • ব্যক্তিগত ঋণ: ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য নেওয়া ঋণ, যেমন শিক্ষা ঋণ, গাড়ি ঋণ বা বিবাহ ঋণ।
  • বাণিজ্যিক ঋণ: ব্যবসার উন্নতির জন্য নেওয়া ঋণ, যেমন শিল্প ঋণ বা ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ।

প্রতিটি ঋণের শর্ত, সুদের হার এবং ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আলাদা হতে পারে। তাই কোন ঋণ আপনার চাহিদা পূরণ করবে, তা ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. সুদের হার যাচাই করুন

ঋণ নেওয়ার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। সুদের হার বেশি হলে, ঋণ পরিশোধের জন্য আপনাকে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। সাধারণত ব্যাংক এবং অন্যান্য ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুদের হারের পার্থক্য থাকে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সুদের হার তুলনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।

আরও পড়ুন  স্মার্টফোনে জায়গা খালি করার ৫ উপায়: স্টোরেজ ফ্রি করার সহজ পদ্ধতি

এছাড়া, সুদের ধরণও জানতে হবে—সুদের হার কি স্থির নাকি পরিবর্তনশীল? স্থির সুদের ক্ষেত্রে পুরো ঋণ পরিশোধের সময় জুড়ে একই সুদের হার থাকবে, তবে পরিবর্তনশীল সুদের ক্ষেত্রে সুদের হার বাজারের অবস্থা অনুযায়ী উঠানামা করতে পারে।

৩. মাসিক কিস্তি নির্ধারণ

ঋণের মাসিক কিস্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঋণ গ্রহণের আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন কি না। মাসিক আয়ের একটি অংশ কিস্তির জন্য রাখতে হবে, তাই কিস্তির পরিমাণ যতটা সম্ভব সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন। অনেক সময় বেশি ঋণ নেওয়ার ফলে কিস্তি পরিশোধে সমস্যা হয়, যা ঋণগ্রহীতাকে আর্থিক সংকটে ফেলতে পারে।

৪. ঋণের শর্তাবলী এবং লুকানো ফি

ঋণ নেওয়ার পূর্বে ঋণের শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ুন এবং বুঝুন। অনেক ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ঋণের সঙ্গে বিভিন্ন লুকানো ফি বা খরচ জুড়ে দেয়, যেমন প্রক্রিয়াকরণ ফি, দেরি করে কিস্তি পরিশোধ করলে জরিমানা ইত্যাদি। ঋণের শর্তাবলী স্পষ্ট না হলে প্রতিষ্ঠানটির সাথে কথা বলে বিস্তারিত জেনে নিন।

৫. নিজের ক্রেডিট স্কোর যাচাই করুন

ক্রেডিট স্কোর হলো এমন একটি নির্ধারণযোগ্য সংখ্যা, যা আপনার ঋণ গ্রহণের সক্ষমতা এবং পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধের ইতিহাস বোঝায়। ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি ঋণ মঞ্জুর করার আগে আপনার ক্রেডিট স্কোর যাচাই করে। যদি আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকে, তবে আপনি সহজেই কম সুদের হারে ঋণ পেতে পারেন। তাই ঋণ নেওয়ার আগে আপনার ক্রেডিট স্কোর যাচাই করে তা ভালো অবস্থায় রাখার চেষ্টা করুন।

ঋণের সময়সীমা নির্ধারণ
ঋণের সময়সীমা নির্ধারণ

৬. ঋণের সময়সীমা নির্ধারণ

ঋণ কত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, তা নির্ধারণ করা খুবই জরুরি। দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করলে সুদের পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই আপনি যদি কম সুদের পরিমাণে ঋণ পরিশোধ করতে চান, তবে সময়সীমা সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করুন। তবে এটি আপনার মাসিক কিস্তিকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সাবধান থাকুন।

৭. ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা তৈরি

ঋণ নেওয়ার পরপরই একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন, যাতে আপনি সঠিক সময়ে কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন। অনেকেই ঋণ নেওয়ার পরে সঠিক পরিকল্পনা না করায় সময়মত কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন না। এতে অতিরিক্ত জরিমানা গুণতে হয় এবং ভবিষ্যতে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুন  ড্রোন কেনার আগে যা যা জানা জরুরি

৮. পরামর্শ নিন

ঋণ নেওয়ার আগে যদি আপনি পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা না পান, তবে অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা বা কোনো পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নিন। তারা আপনার আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক ঋণ পরিকল্পনা করতে সাহায্য করতে পারেন।

৯. ঋণের বিকল্প সমাধান বিবেচনা করুন

অনেক সময় ঋণ গ্রহণ না করেও বিকল্প সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বা সঞ্চয় ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে আপনি ঋণের সুদের ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এছাড়া, বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিলে কোনো সুদের চাপ থাকে না। তাই ঋণ গ্রহণের আগে এসব বিকল্প সমাধান বিবেচনা করা উচিত।

১০. ঋণ সম্পর্কে মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি

ঋণ নেওয়া মানসিক চাপের কারণ হতে পারে, বিশেষত যদি এটি সঠিকভাবে পরিকল্পনা না করা হয়। ঋণগ্রহণের আগে নিজের মনোভাব এবং আর্থিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ঋণ নেওয়া মানে শুধুমাত্র টাকা পাওয়া নয়, এটি একটি দায়িত্বও বটে, যা সময়মতো পরিশোধ করতে হবে। এজন্য নিজেকে আর্থিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করা জরুরি।

ঋণের প্রকারভেদ: আপনার জন্য সঠিক ঋণ নির্বাচন কিভাবে করবেন?

বর্তমান অর্থনৈতিক জগতে ঋণ একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ ঋণের আশ্রয় নেয়। তবে সঠিক ঋণ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সব ধরনের ঋণ সবার জন্য উপযুক্ত নয়। ঋণ নির্বাচনের আগে এর প্রকারভেদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা উচিত, যাতে আপনি আপনার আর্থিক প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ঋণ নিতে পারেন।

ঋণের প্রকারভেদ

 

এই নিবন্ধে আমরা বিভিন্ন ধরনের ঋণ নিয়ে আলোচনা করবো এবং কীভাবে সঠিক ঋণ নির্বাচন করবেন, তার ওপর গুরুত্ব দেব।

ঋণের প্রধান প্রকারভেদ

সাধারণত ঋণকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়: ব্যক্তিগত ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ। এই দুই ভাগের মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরনের ঋণ বিদ্যমান।

১. ব্যক্তিগত ঋণ

ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের জন্য নেওয়া হয়। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন শিক্ষা, চিকিৎসা, বাড়ি নির্মাণ বা অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজন। ব্যক্তিগত ঋণের মধ্যে কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ হলো:

  • ব্যক্তিগত ঋণ (Personal Loan): কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই এই ঋণ নেওয়া হয়। সাধারণত ব্যক্তিগত খরচ মেটানোর জন্য এ ঋণ নেওয়া হয়।
  • বাড়ি ঋণ (Home Loan): বাড়ি কেনা বা নির্মাণের জন্য নেওয়া ঋণ। এটি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং সুদের হার তুলনামূলক কম হয়।
  • গাড়ি ঋণ (Car Loan): নতুন বা পুরাতন গাড়ি কেনার জন্য নেওয়া হয়।
  • শিক্ষা ঋণ (Education Loan): উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ মেটানোর জন্য নেওয়া ঋণ।
  • বিবাহ ঋণ (Wedding Loan): বিবাহের মতো বড় খরচের জন্য ব্যক্তিগত ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন  ব্যাংক লোন পাওয়ার সহজ উপায়: আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার গাইড

২. বাণিজ্যিক ঋণ

ব্যবসা-বাণিজ্য বা বাণিজ্যিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য নেওয়া ঋণকে বাণিজ্যিক ঋণ বলা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ব্যবসার উন্নয়ন বা নতুন ব্যবসা শুরু করা। বাণিজ্যিক ঋণের কয়েকটি প্রকারভেদ হলো:

  • বাণিজ্যিক ঋণ (Business Loan): ক্ষুদ্র বা বৃহৎ ব্যবসার জন্য নেওয়া ঋণ। সাধারণত ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা, সম্প্রসারণ বা নতুন প্রকল্পের জন্য এই ঋণ নেওয়া হয়।
  • শিল্প ঋণ (Industrial Loan): শিল্প স্থাপন বা শিল্পের উন্নয়নের জন্য দেওয়া ঋণ।
  • মেশিনারি ঋণ (Machinery Loan): নতুন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য নেওয়া ঋণ।
  • কারখানা ঋণ (Factory Loan): কারখানা নির্মাণ বা সম্প্রসারণের জন্য নেওয়া ঋণ।

সঠিক ঋণ নির্বাচন করার উপায়

সঠিক ঋণ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার আর্থিক ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলে। সঠিক ঋণ নির্বাচন করার জন্য নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত:

১. আপনার প্রয়োজন নির্ধারণ করুন

প্রথমেই আপনার ঋণের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি ব্যক্তিগত কারণে ঋণ নিতে চান, তবে ব্যক্তিগত ঋণ এবং যদি ব্যবসায়িক কারণে চান, তবে বাণিজ্যিক ঋণ বেছে নিতে হবে। সঠিক প্রয়োজন নির্ধারণ করলে ঋণের প্রকারভেদ নির্বাচন করা সহজ হয়।

২. সুদের হার যাচাই করুন

প্রতিটি ঋণের সুদের হার ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, বাড়ি ঋণ এবং শিক্ষাঋণের সুদের হার কম হয়, তবে ব্যক্তিগত ঋণ বা কার ঋণের সুদের হার তুলনামূলক বেশি হতে পারে। আপনি যে ঋণ নিতে চান তার সুদের হার যাচাই করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি এই সুদের হার পরিশোধ করতে পারবেন।

৩. মাসিক কিস্তির পরিমাণ বিবেচনা করুন

আপনার ঋণের মাসিক কিস্তি কত হবে, তা যাচাই করে নিন। দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তি তুলনামূলক কম হয়, তবে এতে সুদের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই আপনার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মাসিক কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করুন।

৪. ঋণের সময়সীমা যাচাই করুন

আপনার ঋণের সময়সীমা কতদিনের জন্য হবে, তা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধের জন্য সময় বেশি থাকলেও সুদের পরিমাণ বেশি হয়। অন্যদিকে, স্বল্পমেয়াদী ঋণ দ্রুত পরিশোধ করা যায়, তবে মাসিক কিস্তির পরিমাণ বেশি হতে পারে। তাই সময়সীমা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ধারণ করুন।

৫. ক্রেডিট স্কোর যাচাই করুন

ঋণ গ্রহণের পূর্বে আপনার ক্রেডিট স্কোর যাচাই করুন। ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকলে আপনি সহজে ঋণ পেতে পারেন এবং কম সুদের হারে ঋণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

৬. ঋণের শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ুন

প্রতিটি ঋণের শর্তাবলী ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। অনেক ঋণগ্রহীতা শর্তাবলী না পড়ে ঋণ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে সমস্যায় পড়েন। ঋণের মধ্যে থাকা লুকানো ফি, প্রক্রিয়াকরণ খরচ বা দেরিতে কিস্তি পরিশোধের জরিমানা সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকা ভালো।

 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.