Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়

1 1

কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়

 

কিডনির ব্যথা দূর

আজকের পোস্ট এর মুল বিষয় হলো কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়। এছাড়াও আজকের পোস্ট এ আমরা কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার, কিডনিতে পাথর হলে বোঝার উপায়, কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়, নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়
তাহলে চলুন জেনে নেই কিডনি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে।

কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার

কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জেনে রাখা উচিত কোন খাবার খেলে আমাদের কিডনিতে থাকা পাথর গলে যায়। আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম এর পূর্ণতা থাকলে আমাদের কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
অনেকে আবার এই ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ সেবন করে থাকে। কিন্তু এতে করে শরীর আরোও দুর্বল হয়ে পড়ে। কারন বাইরের ওষুধ খেলে আমাদের শরীর পরবর্তীতে তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
এই কারনে আমাদের উচিত দুধ, ঘি, পনিরের মত খাবার এর ওপর নির্ভর হওয়া। কারন এতে অনেক বেশি পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া আমরা দুধ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার এর ওপরও নির্ভর করতে পারি। পালং শাক এ অনেক বেশি পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে। এ
ছাড়া বিট এবং বাদাম এর মত খাবারে অনেক বেশি পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা আমাদের কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে। কিডনিতে পাথর হলে সাইট্রাস জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কারন সাইট্রাস জাতীয় ফলে অনেক বেশি পরিমানে ভিটামিন সি থাকে।
যা আমাদের কিডনিতে থাকা পাথর গলাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়া আমাদের কিডনির জন্য অত্যন্ত ভালো এবং উপকারী। প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারন দেহের অর্ধেক এর মত অসুখ শুধুমাত্র এই পানির মাধ্যমে সেরে যায়। তাই আমাদের প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস এর মত পানি পান করা উচিত।
কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার

কিডনিতে পাথর হলে বোঝার উপায়

পরবর্তীতে আমরা কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায় সম্পর্কে জানবো। এখন চলুন জেনে নেই কিডনিতে পাথর হলে কিভাবে বুঝবো তা সম্পর্কে। আমাদের প্রতিদিনের কাজে অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার কারনে আমাদের কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে।
আমরা অনেক সময় খাবার খেতে অনীহা করি, সঠিক সময়ে পানি পান বা পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করি না, অনেক সময় মুত্র বিসর্জন করতে অনীহা বোধ করি। এই অভ্যাস গুলোর কারনে আমাদের কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে।
এখন চলুন জেনে নেই কোন লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে দেখা দিলে বুঝবো আমাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে তা সম্পর্কে। লক্ষণগুলো নিম্নরুপঃ
  • প্রসাবের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত পরিমানে রক্ত বের হয়ে যায়।
  • অনেক সময় প্রসাবের সাথে পুজ বের হয়।
  • মুত্রনালী ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়ে পড়ে।
  • ঠান্ডা লেগে থাকে শরীরে।
  • হঠাত কাপুনি দিয়ে জ্বর চলে আসে।
  • প্রসাব করতে অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
  • পিঠে অনেক বেশি ব্যথা করে।
  • তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
  • কোমরে অনেক বেশি ব্যাথা হয়ে থাকে।
  • খিচুনীর মত সমস্যা দেখা দেয়।
  • কোনো কারন ছাড়া বমি ভাব দেখা দেয়।
আরও পড়ুন  শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়

কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন জেনে নেই কিডনির পয়েন্ট কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। আমরা জানি আমাদের কিডনি সমস্যার জন্য দায়ী হলো রক্তে থাকা ক্রিয়েটিনিন।
যখন আমাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায় তখন আমাদের কিডনির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই কারনে আমাদের দেহে যেন ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
এজন্য আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। চলুন জেনে নেই সেই নিয়মকানুন সম্পর্কে। নিয়মসমুহ নিম্নরুপঃ
  • যেসকল খাবার খেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় সেসকল খাবার পরিহার করা।
  • অতিরিক্ত পরিমানে আমরা যখন প্রোটিন গ্রহন করি তখন আমাদের দেহে স্বাভাবিক এর তুলনায় অধিক পরিমানে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া ডিম, দুগ্ধজাত পন্য, মুরগির মাংস ইত্যাদি খাবার আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে এই খাবারগুলো পরিহার করা উচিত।
  • আমরা জানি ফাইবার জাতীয় খাদ্য রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যারা দীর্ঘ দিন যাবত কিডনি রোগ এ আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে ফাইবার জাতীয় খাবার অনেক বেশি কাজে দেয়।
  • আমাদের দেহ বিভিন্ন কারনে অনেক সময় ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এর ফলে আমাদের ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং গলা শুকিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দ্দেখা দেয়। এইগুলা কারনে আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রাও অনেক বেশি পরিমানে বেড়ে যায়। একজন কিডনি রোগীর প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত।
  • আমরা অনেক সময় আমাদের প্রতিদিনের খাবারে অনেক বেশি পরিমানে লবন গ্রহন করে থাকি। কিন্তু আমরা জানিনা এই অতিরিক্ত লবন গ্রহনের ফলে কিডনি বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। যার কারনে আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। তাই যেকোনো সময় অতিরিক্ত লবন সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • আমাদের দেহে বিভিন্ন ব্যথাজনিত কারনে আমরা স্টেরয়েড সেবন করে থাকি। স্টেরয়েড সেবনের ফলে আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের পূর্বে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • অনেকেই আছেন যারা অনেক বেশি পরিমানে ধুমপান করে থাকেন। এই অতিরিক্ত ধুমপান করার কারনে আমাদের যেমন ফুস্ফুস এর ক্ষতি হয়, ঠিক তেমনি সরাসরি আমাদের কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আমাদের ধুমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • এলকোহল থেকে সবসময় দূরে থাকা উচিত। কারন এলকোহল পান করার ফলে আমাদের দেহে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। এর ফলে আমাদের দেহে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এলকোহল থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আরও পড়ুন  ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়

কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়

কিডনি অসুস্থ হয়ে গেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা গুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া এবং কোমরে অনেক বেশি ব্যথা করা। এই দুই সমস্যা দেখা দিলেই বুঝে নিতে হবে কিডনির যেকোনো একটা সমস্যা হয়েছে।
আমাদের শরীরে কিডনির ব্যথা কোমরে, পিঠে এবং তলপেটে হয়ে থাকে। এই সময় আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়ে থাকে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এখন চলুন জেনে নেই কিডনি ব্যথা দূর করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। উপায়সমুহ নিম্নরুপঃ
  • আমাদের প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত। দৈনিক অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। কারন পানি পান করলে একদিকে যেমন আমাদের শরীর হাইড্রেটেড থাকে। ঠিক তেমনি অন্যদিকে আমাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা সঠিক থেকে আমাদের কিডনি ভালো থাকে।
  • আমাদের শরীরের যে স্থানে ব্যথা করবে সে স্থানে গরম সেক দেওয়া উচিত। এর ফলে কিছু সময়ের জন্য হলেও আমরা কিছুটা আরাম পাবো।
  • আমাদের সঠিক বিশ্রাম নেওয়া উচিত। দিনে অন্তত ৬ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
  • আমরা আগে জেনেছি ভিটামিন সি আমাদের রক্তে থাকা ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে ভিটামিন সি কম পরিমানে খেতে হবে।
  • অতিরিক্ত পরিমানে প্রোটিন গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • আমাদের প্রতিদিনের খাবারে ফাইবার যুক্ত খাদ্য খেতে হবে।
  • ব্যথার সঠিক কারন বের করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

একটা কিডনির দাম কত

একটু আগে আমরা কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায় সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা কিডনির দাম সম্পর্কে জানবো। বয়স অনুযায়ী কিডনির দাম নির্ধারণ করা হয়। যাদের বয়স ২০-২৬ বছর তাদের প্রতিটি কিডনির ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আর যাদের বয়স তার থেকে একটু বেশি তাদের ক্ষেত্রে প্রতি কিডনি সাপেক্ষে দাম রাখা হয় ২-৪ লক্ষ টাকা।

নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায়

  • পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা।
  • সুষম খাবার খাওয়া উচিত।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত।
  • ধুমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • এলকোহল পান থেকে বিরত থাকা।
  • ব্যথানাশক ওষুধ কম খাওয়া।
  • রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রনে রাখা।
আরও পড়ুন  ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করার পদ্ধতি: একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড

কিডনি রোগ কি ভাল হয়

আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন ধরনের অভ্যাসের কারনে যেমন কিডনির বিভিন্ন ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি সেই অভ্যাসগুলো পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের কিডনি রোগ ভালো হয়ে থাকে। কিডনির সমস্যা হলেই সাথে সাথে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারন নেই। কারন সঠিক পরিচর্যা নিলে আমাদের কিডনি আবার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়, কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার, কিডনিতে পাথর হলে বোঝার উপায়, কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়, নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। এই ধরনের পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.