কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়
কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়
কিডনির ব্যথা দূর
কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার

কিডনিতে পাথর হলে বোঝার উপায়
- প্রসাবের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত পরিমানে রক্ত বের হয়ে যায়।
- অনেক সময় প্রসাবের সাথে পুজ বের হয়।
- মুত্রনালী ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়ে পড়ে।
- ঠান্ডা লেগে থাকে শরীরে।
- হঠাত কাপুনি দিয়ে জ্বর চলে আসে।
- প্রসাব করতে অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
- পিঠে অনেক বেশি ব্যথা করে।
- তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
- কোমরে অনেক বেশি ব্যাথা হয়ে থাকে।
- খিচুনীর মত সমস্যা দেখা দেয়।
- কোনো কারন ছাড়া বমি ভাব দেখা দেয়।
কিডনির পয়েন্ট কমানোর উপায়
- যেসকল খাবার খেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় সেসকল খাবার পরিহার করা।
- অতিরিক্ত পরিমানে আমরা যখন প্রোটিন গ্রহন করি তখন আমাদের দেহে স্বাভাবিক এর তুলনায় অধিক পরিমানে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া ডিম, দুগ্ধজাত পন্য, মুরগির মাংস ইত্যাদি খাবার আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে এই খাবারগুলো পরিহার করা উচিত।
- আমরা জানি ফাইবার জাতীয় খাদ্য রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যারা দীর্ঘ দিন যাবত কিডনি রোগ এ আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে ফাইবার জাতীয় খাবার অনেক বেশি কাজে দেয়।
- আমাদের দেহ বিভিন্ন কারনে অনেক সময় ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এর ফলে আমাদের ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং গলা শুকিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দ্দেখা দেয়। এইগুলা কারনে আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রাও অনেক বেশি পরিমানে বেড়ে যায়। একজন কিডনি রোগীর প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত।
- আমরা অনেক সময় আমাদের প্রতিদিনের খাবারে অনেক বেশি পরিমানে লবন গ্রহন করে থাকি। কিন্তু আমরা জানিনা এই অতিরিক্ত লবন গ্রহনের ফলে কিডনি বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। যার কারনে আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। তাই যেকোনো সময় অতিরিক্ত লবন সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।
- আমাদের দেহে বিভিন্ন ব্যথাজনিত কারনে আমরা স্টেরয়েড সেবন করে থাকি। স্টেরয়েড সেবনের ফলে আমাদের দেহে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের পূর্বে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- অনেকেই আছেন যারা অনেক বেশি পরিমানে ধুমপান করে থাকেন। এই অতিরিক্ত ধুমপান করার কারনে আমাদের যেমন ফুস্ফুস এর ক্ষতি হয়, ঠিক তেমনি সরাসরি আমাদের কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আমাদের ধুমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
- এলকোহল থেকে সবসময় দূরে থাকা উচিত। কারন এলকোহল পান করার ফলে আমাদের দেহে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। এর ফলে আমাদের দেহে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এলকোহল থেকে দূরে থাকাই ভালো।

কিডনি ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৭টি উপায়
- আমাদের প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত। দৈনিক অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। কারন পানি পান করলে একদিকে যেমন আমাদের শরীর হাইড্রেটেড থাকে। ঠিক তেমনি অন্যদিকে আমাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা সঠিক থেকে আমাদের কিডনি ভালো থাকে।
- আমাদের শরীরের যে স্থানে ব্যথা করবে সে স্থানে গরম সেক দেওয়া উচিত। এর ফলে কিছু সময়ের জন্য হলেও আমরা কিছুটা আরাম পাবো।
- আমাদের সঠিক বিশ্রাম নেওয়া উচিত। দিনে অন্তত ৬ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
- আমরা আগে জেনেছি ভিটামিন সি আমাদের রক্তে থাকা ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে ভিটামিন সি কম পরিমানে খেতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিমানে প্রোটিন গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- আমাদের প্রতিদিনের খাবারে ফাইবার যুক্ত খাদ্য খেতে হবে।
- ব্যথার সঠিক কারন বের করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
একটা কিডনির দাম কত
নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায়
- পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা।
- সুষম খাবার খাওয়া উচিত।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত।
- ধুমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
- এলকোহল পান থেকে বিরত থাকা।
- ব্যথানাশক ওষুধ কম খাওয়া।
- রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রনে রাখা।