কিডনি রোগী কি ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারবে বিস্তারিত জানুন
কিডনি রোগী কি ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারবে বিস্তারিত জানুন
কিডনি রোগী কি ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারবে
কিডনি রোগী কি ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারবে
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- সকালে খালি পেটে ১-২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি নিয়ে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরের জ্বালা-পোড়া ভাব দূর হয়ে যায়।
- ১ চা চামচ পরিমান ইসবগুলের ভুসি নিয়ে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে ১-২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসির সাথে ১ গ্লাস দুধ মিশিয়ে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- ২ চা চামচ পরিমান ইসবগুলের ভুসি নিয়ে তার সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে পেটফাপা দূর হয়ে যায়।
- আখের গুড় এর সাথে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে আমাদের প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া দূর হয়ে যায়।
- গর্ভবতী নারী যদি ডায়রিয়া তে ভুগে থাকে, তবে ইসবগুলের ভুসির সাথে টক দই মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- ৩ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে গর্ভবতী নারীর অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সময় প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া, প্রসাবের রাস্তায় ইনফেকশন ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসির গুরুত্ব অপরিসীম।
- রক্তে থাকা শর্করা বা কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে বা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদের দেহে শর্করার মাত্রা কমে যায়। তখন ইসবগুলের ভুসি দেহে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।
- গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি অনেক বেশি কাজে দেয়। কারন ইসবগুলের ভুষিতে থাকা ফাইবার পায়খানা নরম করতে সাহায্য করে।
- ইসবগুলের ভুসি হলো অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক একটি খাবার। এই খাবার একজন গর্ভবতী নারী এবং তার গর্ভে থাকার বাচ্চার বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
- গর্ভকালীন সময়ে একজন নারী প্রায় বেশিরভাগ সময় বসে অথবা শুয়ে থাকার মাধ্যমে কাটিয়ে দেয়। যার কারনে এই সময় পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। ইসবগুলের ভুসি এই সময় গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস এর সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসির তুলনা অপরিসীম।
- একজন গর্ভবতী নারীর দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
- শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এই ইসবগুলের ভুসি অনেক কাজে দেয়।
- গর্ভকালীন সময়ে দেহে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে এই ইসবগুলের ভুসি।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- অতিরিক্ত পরিমানে ইসবগুলের ভুসি খেলে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
- যেসকল গর্ভবতী মহিলাদের খিচুনী রোগের সমস্যা রয়েছে, তাদের ইসবগুলের ভুসি নিয়ম করে খাওয়া উচিত। খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারন এতে করে খিচুনীর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সময় ইসবগুলের ভুসি খেলে কিডনির জটিলতা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরে অনেক বেশি পরিমানে পানির প্রয়োজন হয়। আর ইসবগুলের ভুসিও অনেক পানি টেনে নেয়। যার কারনে গর্ভকালীন সময়ে ইসবগুলের ভুসি খেলে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা উচিত।
- ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার কারনে অনেক গর্ভবতী নারীদের ইনসুলিন এর সমস্যা দেখা দেয়।
- গর্ভকালীন সময়ে ইসবগুলের ভুসি অনেক বেশি পরিমানে খেলে বুক ব্যাথা, শ্বাস-কষ্ট ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমানে ইসবগুলের ভুসি খেলে হৃদপিণ্ডের অসুখ বেশি হয়ে যায়।
- বিভিন্ন ধরনের হরমোন জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
- গর্ভবতী মহিলাদের থাইরয়েড এর সমস্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- কুসুম গরম পানির মধ্যে ১-২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি নিয়ে তার মধ্যে কয়েকফোটা লেবুর রস দিয়ে খেলে আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।
- ১-২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসির সাথে কুসুম গরম দুধ মিশিয়ে খেলেও শরীর কমানোর ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- ওজন কমানোর জন্য ইসবগুলের ভুসি শুধু গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা
- আমাদের প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- হজমে সাহায্য করে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি দেয়।
- আমাদের পেটে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা ইসবগুলের ভুসি খেতে পারি।
- ডায়রিয়া দূর করে আমাদের দেহকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
- আমাদের হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক জীবানু থেকে রক্ষা করে হার্ট সুস্থ রাখে।
ইসবগুলের ক্ষতিকর দিক
- আমাদের শরীরে বিভিন্ন পানিজনিত জটিলতা দেখা দেয়।
- অনেকসময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়।
- আমাদের বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
- পেটে ব্যাথার মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
- ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- পেটে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়
কিডনি রোগী কি ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারবে (FAQ)
