গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া যাবে কি সঠিক উত্তর জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া যাবে কি
তাহলে চলুন জেনে নেই তরমুজের বিভিন্ন উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।
ভালো তরমুজ চেনার উপায়
- যে তরমুজের গায়ে হলুদ রঙের ছোপ দেখা যায় সে তরমুজটি কেনা উচিত। কারন হলুদ ছোপ থাকা তরমুজ মিষ্টি হয়ে থাকে।
- তরমুজের আকৃতি হতে হবে গোলাকার বা ওভাল আকৃতির। এই আকৃতির তরমুজ অনেক বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে।
- যেসব তরমুজে অনেক বেশি রস থাকে, সেগুলো অনেক বেশি ভারী হয়ে থাকে। তাই ভারী তরমুজ কিনলে তা মিষ্টি এবং রসালো হয়ে থাকে।
- তরমুজ কেনার সময় দেখতে হবে তরমুজের গোড়া শুকানো কি না। যদি শুকানো হয় তবে তরমুজটি একদম পাকা। আর এই ধরনের তরমুজ মিষ্টি এবং রসালো হয়ে থাকে।
- তরমুজের গায়ে টোকা দিয়ে দেখতে হবে যে ভারি আওয়াজ আসছে কি না। যদি ভারি আওয়াজ হয় তাহলে সেই তরমুজটি পাকা হবে।
তরমুজ এর উপকারিতা
- তরমুজে অনেক বেশি পরিমানে পানি থাকে, যা আমাদের হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে আমাদের পাচনতন্ত্র ভালো থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
- তরমুজে থাকা ফাইবার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- তরমুজে লাইকোপেন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে। যা ক্যান্সার এর মত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- তরমুজে অনেক বেশি পরিমানে এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের ক্যান্সার রোধ করে থাকে।
- তরমুজে বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন উপস্থিত থাকে। যা আমাদের হৃদপিণ্ডের রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
- আমাদের মাংশপেশির নড়াচড়া, দেহকোষ গঠন, মস্তিষ্কের গঠন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে তরমুজ অনেক বেশি সাহায্য করে। কারন এতে কোলিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে।
- তরমুজে থাকা পানি আমাদের দেহকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
- তরমুজে ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকে, যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
- তরমুজে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-বি ৬ নামে ভিটামিনসমুহ বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
- আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে।
- তরমুজে অনেক কম পরিমানে ক্যালরি বিদ্যমান থাকে। তাই অনেক বেশি তরমুজ খেলেও আমাদের ফ্যাট বাড়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
কিডনি রোগী কি তরমুজ খেতে পারবে
গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া যাবে কি
- গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার অনেক বেশি পরিমানে বুক জ্বালা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। যা একজন গর্ভবতী মহিলার কাছে অস্বস্তির কারন হয়ে থাকে। এসময় তরমুজ খেলে একজন গর্ভবতী নারী এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
- গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সময় হাত এবং পায়ে পানি জমে যায়। যার কারনে হাত এবং পা অনেকসময় ফুলে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একজন গর্ভবতী নারী তরমুজ খেতে পারে।
- তরমুজে অনেক বেশি পরিমানে মিনারেল থাকে। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে পানিশুন্যতা দেখা দেয়। সেই সময় তরমুজ খেলে পানিশুন্যতা দুর হয়ে থাকে।
- গর্ভবতী মহিলারা অনেক সময় বমি বমি ভাব এবং দুর্বলতায় ভুগে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গর্ভবতী নারী তরমুজ খেতে পারেন।
- গর্ভাবস্থায় একজন নারীর দেহে সংক্রমনজনিত সমস্যা দেয়। এতে করে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একজন গর্ভবতী নারী তরমুজ খেতে পারেন।
- তরমুজ খেলে আমাদের অনেক বেশি মুত্র হয়ে থাকে। এই মুত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকার পদার্থ বাইরে বের হয়ে যায়। তাই গর্ভবতী একজন নারী তার দেহকে সুস্থ রাখতে তরমুজ খেতে পারেন।
- গর্ভাবস্থায় মহিলাদের খিচুনীর সমস্যা দেখা যায়। তরমুজ খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গর্ভাবস্থায় একজন নারীর ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়। যা কোনো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতির কারনে হয়ে থাকে। তরমুজ এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- গর্ভবতী মহিলাদের একটি সাধারন সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একজন নারী তরমুজ খেতে পারেন।
- শিশু যখন ভ্রুন অবস্থায় থাকে, তখন তার হাড় গঠনে সাহায্য করে থাকে।
তরমুজের বিচির উপকারিতা
- তরমুজের বিচিতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা আমাদের হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- তরমুজের বিচিতে জিংক নামক উপাদান থাকে। যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- তরমুজে অনেক বেশি পরিমানে ফাইবার বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের হজমশক্তি ভালো করতে সাহায্য করে।
- তরমুজের বিচিতে প্রোটিন এবং ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান থাকে, যা আমাদের ত্বক এবং চুল ভালো এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
- তরমুজে কোলিন নামক উপাদান থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বক মসৃণ এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
- পেশীতে থাকা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
- ডিহাইড্রেশন দূর করে।
- অতিরিক্ত পরিমানে তরমুজ খেলে আমাদের হজমে সমস্যা দেখা দেয়।
- আমাদের দেহে গ্লুকোজের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফল অল্প পরিমানে খাওয়া উচিত।
- আমাদের যকৃতে প্রদাহের মত সমস্যা সৃষ্টি করে।
- শরীরে পানির পরিমান অনেক বেশি পরিমানে বেড়ে যায়।
- তরমুজে থাকা পটাশিয়াম হৃদ রোগের ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।