Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়? জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত

0 13

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়? জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়?

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় তা সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো। এছাড়াও জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত, সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করলে কি হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আজকের পোস্ট এ আলোচনা করবো।
জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়
তাহলে চলুন জেনে নেই জিম করা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে।

ব্যায়াম করার পর কি খাওয়া উচিত

ব্যায়াম আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করে আমাদের শরীরকে সুন্দর গঠন দিতে সাহায্য করে। একটি পেশীবহুল দেহ গঠনে ব্যায়ামের ভূমিকা অপরিসীম। জিম করার আগে কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় এবং জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত তা জানার আগে এখন আমরা ব্যায়াম করার পর কি খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে জানবো।
আমরা খাবারের ওপর নির্ভর করে আমাদের দেহ গঠিত বা শক্তিশালী হয়ে থাকে। অনেক সময় আমরা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারি না বা আমাদের জানা থাকে না যে ব্যায়ামের পর আসলে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। যে কারনে আমরা শরীর গঠনের ক্ষেত্রে কষ্ট করি ঠিকই, কিন্তু তেমন কোনো ফলাফল পাই না।
যার কারনে আমরা ব্যায়াম করা ছেড়ে দেই। কিন্তু এখন আমি আপনাকে জানাবো কোন ধরনের খাবার খেলে আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করবে। যাতে পরবর্তীতে আপনার ব্যায়াম করা থেকে দূরে সরে না যান। চলুন জেনে নেই ব্যায়াম করার পর কি কি খাবার খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে। খাবারগুলো নিম্নরুপঃ
  • ব্যায়াম করার পর গ্লুকোজ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
  • কলা অথবা বিভিন্ন ফলের রস করে খাওয়া উচিত।
  • প্রোটিন এর জন্য ডিম বা বাটার মিল্ক এর সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া।
  • ব্যায়াম করার পর দইয়ের সাথে পোহা বা উপমা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • দুধে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন বিদ্যমান থাকে। তাই ব্যায়াম এর পর আমরা চাইলে দুধ এর সাথে ওটস মিশিয়ে খেতে পারি।
  • চিকেন স্যান্ডউইচ ব্যায়ামের পর প্রোটিনের আদর্শ খাবার।
  • ব্যায়ামের পর আপনি চাইলে সবজি দিয়ে খিচুরী রান্না করে খেতে পারেন।
  • ব্যায়াম ক্ররার পর মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে আপনি খেতে পারেন।
  • ওটস এ অনেক ভালো পরিমানে শর্করা থাকে। তাই ব্যায়ামের পর আপনি চাইলে ওটস খেতে পারেন।
  • বাদাম আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করে থাকে। তাই ব্যায়াম করার পর আপনি আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য বাদাম খেতে পারেন।
  • সবুজ শাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে। তাই ব্যায়ামের পর সবজি দিয়ে তৈরি নুডূলস বা খিচুরী খাওয়া যেতে পারে।
  • টাটকা ফলমূল আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তাই ব্যায়ামের পর আদর্শ খাবার হলো ফল।
  • প্রচুর পরিমানে পান করা উচিত ব্যায়াম করার পরে।
আরও পড়ুন  কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে বিস্তারিত জেনে নিন
ব্যায়াম করার পর কি খাওয়া উচিত

 

ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত

আমরা দুইটি কারনে সাধারনত ব্যায়াম করে থাকি। প্রথমত আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য এবং শরীরকে ফিট রাখার জন্য। দ্বিতীয়ত আমাদের শরীরকে ব্যায়াম করার মাধ্যমে দেহের আকার দেয়ার জন্য। যাকে বডি ফিটনেস বলা হয়।
কিন্তু আমরা যে কারনেই ব্যায়াম করি না কেন, যদি আমরা সঠিক খাবার না খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীর গঠন কখনোই সম্ভব না। ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে আমাদের কি খাওয়া উচিত এবং কখন খাওয়া উচিত তা আমরা অনেকেই জানি না।
যার কারনে সঠিক খাবার এবং সঠিক সময়ে উক্ত খাবার গ্রহন না করার ফলে আমাদের শরীরের ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে। শরীর সুস্থ এবং ফিট রাখার জন্য আমাদের সঠিক সময়ে খাবার গ্রহন করা উচিত।
জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় এবং জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে নেই ব্যায়াম করার কতক্ষন পর খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ব্যায়াম করার সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টা পূর্বে খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। খালি পেটে কখনোই ব্যায়াম করা উচিত নয়।

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়

ছোলা আমাদের দেহের জন্য উপকারী এক ধরনের খাবার। ছোলা তে অনেক পুষ্টি গুনাগুন থাকে। যা আমাদের দেহে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম ছোলার মধ্যে ৬৫ গ্রাম এর মত কার্বোহাইড্রেট, ৫ গ্রাম এর মত ফ্যাট, ২০০ মিলিগ্রাম এর মত ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং খনিজ লবন বিদ্যমান থাকে।
ছোলা কে অনেক আগে থেকেই শক্তিশালী খাবার হিসেবে মানা হয়। ঘোড়ার খাবার হিসেবে এই ছোলা কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। দেহে থাকা বিভিন্ন রোগজীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের দেহ সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
মানবদেহে থাকা ক্যান্সারের মত অসুখের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। জিম করার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর আমরা কাঁচা ছোলা খেতে পারি। কাঁচা ছোলাকে পরিপূর্ণ কার্বোহাইড্রেট বলা হয়। ছোলাতে উচ্চ মাত্রার কারবোহাইড্রেট বিদ্যমান থাকে।
আমাদের দেহে শর্করার মাত্রা পরিপূর্ণ রাখতে ছোলার ভূমিকা অপরিসীম। উক্ত কারনে আমরা ব্যায়াম করার পরে কাঁচা ছোলা খেতে পারি। কারন তা আমাদের দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আমাদের দেহকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত

পূর্বে আমরা জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। একটু পর আমরা জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে জানবো। এখন চলুন জেনে নেই সকালে ব্যায়াম করার আগে আমাদের কি কি খাওয়া উচিত।
ব্যায়ামের ফলে আমাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন হয়ে যায়। যার কারনে আমাদের দেহে ক্যালরি কে আবার নতুন করে রিফিল করা লাগে। তাই ব্যায়াম করার আগে এবং পরে আমাদের কিছু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
কারন সেসময় পুষ্টিকর খাবার না খেলে আমাদের শরীর ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই আমাদের ব্যায়াম চলাকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এখন চলুন জেনে নেই কোন ধরনের খাবার আমাদের সকালে ব্যায়ামের আগে খাওয়া উচিত। খাবারসমুহ নিম্নরুপঃ
কলা
কলা একটি প্রাকৃতিক ফল। এই ফলে অনেক বেশি পরিমানে কার্বোহাইড্রেট ও পটাশিয়াম থাকে। যা আমাদের দেহে ইন্সট্যান্ট এনার্জি রিফিল করে এবং হজমে সাহায্য করে। আমরা যখন সকালে ব্যায়াম করি ঠিক তার ৩০ মিনিট পূর্বে একটি কলা খেয়ে নিতে পারি।
ওটস
ওটস এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফাইবার বিদ্যমান থাকে। যার কারনে আমাদের শরীরে খুব দ্রুত কার্বোহাইড্রেট এর পরিমান বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যা আমাদের দেহে অনেক দ্রুত এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়। তাই আমরা যখন সকালে ব্যায়াম করবো তার ঠিক ৩০ মিনিট পূর্বে আমরা ওটস খেয়ে নিতে পারি।
ব্রাউন ব্রেড
ব্রাউন ব্রেড এ অনেক বেশি পরিমানে কার্বোহাইড্রেট থাকে। যার কারনে আমাদের দেহে খুব দ্রুত এনারজির মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া ব্রাউন ব্রেড এর সাথে প্রোটিন হিসেবে আমরা চাইলে ডিম এবং মধু খেতে পারি। এতে করে আমাদের দেহে এনারজির মাত্রা অনেকটা বেড়ে যাবে এবং ব্যায়ামে আমাদের ফোকাস করতে সাহায্য করবে। ব্যায়াম করার ঠিক ৪৫ মিনিট পূর্বে ব্রাউন ব্রেড খাওয়া উচিত।
ফল এবং ইয়োগার্‌ট
ফলের মধ্যে অনেক বেশি পরিমানে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা আমাদের শরীরে এনারজির মাত্রা ঠিক রাখে। অন্যদিকে ইয়োগারটে অনেক বেশি পরিমানে প্রোটিন বিদ্যমান থাকে। তাই যখন আমরা ব্যায়াম করি ঠিক তার ৩০ মিনিট পূর্বে ফল হিসেবে কলা এবং ইয়োগারট হিসেবে দই খেতে পারি।
পানি
ব্যায়াম করার আগে এবং পরে আমাদের প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত। কারন আমাদের দেহকে ডিহাইড্রেশন এর হাত থেকে রক্ষা করতে পানির ভূমিকা অপরিসীম। আমরা যখন ব্যায়াম করি তখন আমাদের দেহ থেকে অনেক বেশি পরিমানে পানি ঘাম এবং মুত্রের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বাইরে বের হয়ে যায়। তাই ব্যায়ামের আগে এবং পরে আমাদের অনেক বেশি পানি পান করা উচিত।

জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত

পূর্বে আমরা জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই জিম করার আগে এবং পরে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে।

জিম করার আগের খাবার

শর্করা জাতীয় খাবার
ব্যায়াম করার আগে আমাদের শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কারন আমাদের দেহ গঠনে এবং পেশী মজবুত ও শক্তিশালী করতে শর্করা জাতীয় খাবারে ভূমিকা অপরিসীম। আমরা যখন ব্যায়াম করি তখন শর্করা জাতীয় খাবার আমাদের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। শর্করা জাতীয় খাবারগুলো নিম্নরুপঃ
  • ভাত
  • রুটি
  • ওটস
  • পাউরুটি
  • বিভিন্ন ধরনের ফল
  • দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাবার
  • শস্যদানা
  • চিনি
  • ওট্মিল
  • টোস্ট
  • জুস
আরও পড়ুন  গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
আমিষ জাতীয় খাবার
আমিষ জাতীয় খাবার আমাদের দেহে শক্তি এবং পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। আমরা যখন ব্যায়াম করি তখন আমাদের দেহ থেকে অনেক ক্যালরি বার্ন হয়ে যায়। আর এই বার্ন হওয়া ক্যালরি পুরন করতে আমরা আমিষ জাতীয় খাবার খেতে পারি। আমাদের ব্যায়াম করার আগে ১০-৩০ গ্রাম এর মত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। আমিষ জাতীয় খাবারসমুহ নিম্নরুপঃ
  • পনির
  • মটরশুটি
  • বাদাম
  • চকলেট দুধ
  • মাংস
  • ডিম
  • ইয়োগারট
  • বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত খাবার
তরল জাতীয় খাবার
ব্যায়াম করলে আমাদের শরীর থেকে অনেক বেশি পরিমানে পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের শরীরে পানিশুন্যতা দেখা দিতে পারে। আর এই অবস্থায় ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আমরা যখন ব্যায়াম করি তখন ২০-৩০ মিনিট পরপর পানি পান করা উচিত।

জিম করার পরের খাবার

জিম করার ফলে আমাদের দেহ থেকে অনেক বেশি পরিমানে ক্যালরি বার্ন হয়ে যায়। যার কারনে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় আমাদের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
কারন ব্যায়ামের পর সঠিক খাবার এবং সঠিক সময় মেইন্টেইন না করলে আমাদের শরীরে ভালো হওয়ার পরিবর্তে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই জিম করার পরে আমাদের যেসব খাবার খাওয়া উচিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • শর্করা জাতীয় – মিষ্টি আলু, দুধ, বিভিন্ন ফলের রস, ভাত, আলু এবং গমের তৈরি রুটি।
  • ফ্যাট জাতীয় – বাদাম, সিডস, শুকনা ফল ইত্যাদি।
  • আমিষ জাতীয় – লাল মাংস, ডিম, মুরগির মাংস ইতাদি খাওয়া যেতে পারে।
  • প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত ব্যায়াম করার আগে এবং পরে।
জিম করার পরের খাবার

ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর পানি খাওয়া উচিত

ব্যায়াম করার ফলে আমাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত পরিমানে পানি শরীর থেকে ঘাম এবং মুত্রের আকারে বের হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের দেহ তখন ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই সময় পানি পান করা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে।
ব্যায়াম করার ঠিক ৩০ মিনিট পূর্বে পানি এবং পানি জাতীয় বিভিন্ন খাবার যেমন-স্যুপ, দুধ, দই ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। আবার আমরা যখন ব্যায়াম করবো তখন ২০-২৫ মিনিট পরপর পানি পান করা উচিত। ব্যায়াম শেষ করার ৩০ মিনিট পরে আমাদের পানি, স্যুপ, দই ইত্যাদি খেতে পারি।
এককথায় ব্যায়াম শুরু করার আগে এবং পরে পর্যন্ত আমাদের শরীর আর্দ্র রাখতে হবে। শরীর থেকে পানি যেন অতিরিক্ত পরিমানে বের না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।

সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা কি ভালো

সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করলে আমাদের উপকার এবং অপকার দুইটিই হতে পারে। পূর্বে আমরা জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় এবং জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।
উপকারিতাসমুহ
  • সকালে খালি পেটে ব্যায়াম আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • পেটের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন হয়ে যায়।
  • পেটের পেশী অনেক শক্তিশালী হয়ে যায়।
  • খালি পেটে ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন  ননী ফল খাওয়ার উপকারিতা: প্রাচীন ফলের আশ্চর্যজনক গুণাবলী
অপকারিসমুহ
  • খালি পেটে ব্যায়াম করলে আমাদের দেহ ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • পেশীতে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ইত্যাদি।

জিম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর (FAQ)

প্রশ্নঃ ব্যায়াম করার কতক্ষন আগে খাবার খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ব্যায়াম করার অন্তত ৩০ মিনিট বা ৪৫ মিনিট পূর্বে আমাদের খাবার খাওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ ব্যায়াম করার কতক্ষন পূর্বে আমাদের পানি পান করা উচিত?
উত্তরঃ ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট পূর্বে এবং ব্যায়াম চলাকালীন সময়ে ২০-২৫ মিনিট পর পর আমাদের পানি পান করা উচিত।
প্রশ্নঃ ব্যায়াম করার কতক্ষন পর আমাদের খাবার খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট পর আমাদের খাবার খাওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ ব্যায়াম করার পূর্বে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ব্যায়াম করার পূর্বে আমাদের শর্করা, আমিষ এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ ব্যায়াম করার পরে আমাদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ব্যায়াম করার পরে আমাদের আমিষ, শর্করা, ফ্যাট এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে আমাদের দেহে শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং পেশী শক্তিশালী হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ জিম করার আগে এবং পরে আমাদের আমিষ, শর্করা, ফ্যাট এবং পানি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

লেখকের মন্তুব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়, জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত, সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করলে কি হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মুল্যবান তথ্য পেয়েছেন।
আমরা এই ধরনের মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করে থাকি। নিয়মিত পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.