Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

0 3

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা

আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা টনসিল ফুলে গেলে করণীয়, টনসিল ফোলা কমানোর উপায়, টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ,
টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে, কি কি খাবার খাওয়া যাবে না, টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা
তাহলে চলুন জেনে নেই টনসিল ইনফেকশনের কারন, লক্ষন এবং প্রতিকার সম্পর্কে।

টনসিল ফুলে গেলে করণীয়

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা পরে জানব। এখন চলুন জেনে নেই টনসিল ফুলে গেলে আমাদের কি করা উচিত তা সম্পর্কে। টনসিল হলো আমাদের শরীরে থাকা এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থার নাম।
এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা আমাদের মুখের অভ্যন্তরে ৪ টি ভাগে বিভক্ত থাকে। যখন এই ভাগগুলোর কোনো একটিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয় তখন আমাদের টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়। এখন চলুন জেনে নেই টনসিল হওয়ার কারন সম্পর্কে। কারনসমুহ হলোঃ
  • সঠিক পুষ্টির অভাব
  • অতিরিক্ত আইসক্রিম খাওয়া
  • ফ্রিজে পানি রেখে পরবর্তীতে তা ঠান্ডা অবস্থায় খাওয়া
  • স্যাতস্যাতে পরিবেশে জীবনযাপন করা ইত্যাদি।
এতক্ষন আমরা জানলাম টনসিল কেন হয় তা সম্পর্কে। এখন চলুন জেনে নেই টনসিলের বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
  • আমাদের অনেক বেশি গলাব্যথার সমস্যা শুরু হয়।
  • তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেয়।
  • খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা লাগে।
  • হা করতে অসুবিধা হয়।
  • কানে সবসময় ব্যথা হয়ে থাকে।
  • মুখ দিয়ে অনেক সময় লালা বের হয়।
  • গলার কন্ঠ ভারি হয়ে যায়।
  • মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়।
  • ঢোক গিলার সময় ব্যথা অনুভুত হয়।
  • গলা ফুলে যায়।
এতক্ষন আমরা টনসিলের বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে জানলাম। এখন চলুন জেনে নেই টনসিল ফুলে গেলে কি করা উচিত তা সম্পর্কে। করণীয় কাজ নিম্নে উল্লেখ করা হল।
  • প্রথমত নতুন করে ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
  • গলায় গরম কাপড় জড়িয়ে রাখতে হবে।
  • গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।
  • লেবু খাওয়া যেতে পারে।
  • আদা চা খেলে ব্যথা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এন্টিবায়োটিক এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।
আরও পড়ুন  ফোটনিক ডেটাসেন্টার বিপ্লব: তথ্য প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত 

টনসিল ফোলা কমানোর উপায়

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা একটু পরে জানব। এখন চলুন জেনে নেই টনসিল ফোলা কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। উপায়সমুহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • গরম পানি পান করা।
  • হালকা ঠান্ডা তরল পান করা।
  • লবন এবং পানি একসাথে মিশ্রিত করে গড়গড়া করা।
  • ভাপ নিতে পারেন সময় করে।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে।
  • মধু এবং গরম পানি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • লেবুর সাথে পানি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা পরে জানব। এখন চলুন জেনে নেই টনসিল ইনফেকশন হলে আমাদের কি কি লক্ষন দেখা দেয় তা সম্পর্কে। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
  • টনসিলের জায়গা লাল হয়ে থাকে।
  • খাবার খাওয়ার সময় অনেক অসুবিধা হয়ে থাকে।
  • ঢোক গিলতে সমস্যা হয়।
  • শরীরে প্রচন্ড জ্বর দেখা দেয়।
  • ঘাড়ে ব্যথা হয়ে থাকে।
  • কন্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
  • শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেয়।
  • পেটে অসম্ভব ব্যথা হয়ে থাকে।
  • মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা

টনসিল হলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে মুখমন্ডলে সবথেকে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। শীতের মধ্যে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে আমাদের টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের গলার পিছনে হা করলে দেখা যায় দুটো ছোট মাংসপিন্ড ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এটিই হলো টনসিল। এই টনসিল থেকে মুক্তি পেতে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারি। তা এখন নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা নিম্নরুপঃ

  • আমাদের অল্প পরিমানে গরম পানি নিতে হবে। এর মধ্যে লবন মিশিয়ে তা গলার মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষন বসে থাকতে হবে। পরবর্তীতে গড়গড়া করে ফেলে দিতে হবে। এভাবে করলে টনসিল ইনফেকশন অনেকটা সেরে যায়।
  • এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে এক টুকরো লেবুর রস মেশাতে হবে। পরে তার সাথে এক চা চামচ লবন এবং মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এইভাবে খেলে ৩-৪ দিন এর মধ্যে টনসিলের ব্যথা দূর হয়ে যায়।
  • গ্রিন টি তে অনেক বেশি এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা জীবানু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। আমরা গ্রিন টির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারি টনসিল ইনফেকশন দূর করার জন্য।
  • টনসিল ইনফেকশন দূর করতে আমরা হলুদ এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারি। কারন হলুদে অনেক বেশি পরিমানে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের দেহের ক্ষতিকর জীবানু ধ্বংস করে থাকে।
  • টনসিল ইনফেকশন দূর করার জন্য আমরা আদা চা খেতে পারি। কারন আদা তে ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাংগাস দূর করার মত উপাদান থাকে।
আরও পড়ুন  শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা নিম্নরুপঃ

টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে

টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা পূর্বে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই টনসিল হলে কি কি খাবার আমরা খেতে পারবো তা সম্পর্কে।
সব ধরনের খাবার টনসিল হলে খাওয়া যায় না। কারন কিছু খাবার আছে যা খেলে আমাদের টনসিল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যেসব খাবার খেলে টনসিল নিয়ন্ত্রনে থাকে অথবা ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • ডিম দিয়ে তৈরি পুডিং খাওয়া যেতে পারে।
  • বিভিন্ন তাজা ফল এবং ফলের রস খেতে হবে।
  • ডালিমের রস করে খেতে হবে।
  • কলা খাওয়া যাবে।
  • চিকেন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
  • দুধ এর সাথে হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে।
  • মধু খেলে টনসিল ভালো হয়ে যায়।
  • আদার রস খেতে হবে।
  • চা পান করা যেতে পারে।
  • দই খেলে টনসিল ভালো হয়ে যায়।
  • ডিম ভুনা করে খেতে হবে।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না

পূর্বে আমরা টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না তা সম্পর্কে। খাবারগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

 

  • বিভিন্ন ধরনের জাংক ফুড যেমন- চানাচুর, চিপস, চটপটি, ফুচকা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • টক জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন টক খেলে গলা ব্যথা বেড়ে যায়।
  • বাধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন এই ধরনের খাবার টনসিল বাড়িয়ে দেয়।
  • মিষ্টি আলু এবং চিনা বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • দুধ এবং দুধ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • যেসকল খাবার কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যেমন- গাজর, কলা, রুটি, মিষ্টি ইত্যাদি কম পরিমানে খেতে হবে।
  • এসিডযুক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন – টমেটো, কমলা, বরই, আঙ্গুর, আনারস, কফি এবং চকলেট খেলে টনসিল বেড়ে যায়। যার কারনে এইগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
  • চকলেট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
  • শক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • কলা খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • ঝাল খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • ধুমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • এলকোহল সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন  টিয়া পাখির অপকারিতা - টিয়া পাখির উপকারিতা

শিশুদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা

পূর্বে আমরা টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই শিশুদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
  • মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করা উচিত।
  • কুসুম গরম পানির সাথে লবন মিশিয়ে দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।
  • বাচ্চার হাত ভালোমত ধুয়ে দিতে হবে।
  • শিশু যেন ভাইরাস বা ফ্লু জাতীয় অসুখ থেকে দূরে থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
  • নিয়মিত মধু এবং কালোজিরা খাওয়াতে হবে।
শিশুদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা

টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ

পূর্বে আমরা টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব টনসিল ফোলা কমানোর বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে। ঔষধগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • Azee XL 200 mg – Syrup – 108/- tk
  • Azee 500 mg – Injection – 200/- tk
  • Azibact 500 mg – Tablet – 114/- tk
  • Trulimax 250 mg – Tablet – 61/- tk
  • Ceftas 200 mg – Tablet – 79/- tk
  • Bakson 75 mg – Tablet – 190/- tk
  • Cefolac 200 mg – Tablet – 128/- tk

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা, টনসিল ফুলে গেলে করণীয়, টনসিল ফোলা কমানোর উপায়, টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ, টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে, কি কি খাবার খাওয়া যাবে না, টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। আমরা এই ধরনের পোস্ট প্রতিনিয়ত আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করে থাকি। নিয়মিত পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.