টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা
টনসিল ফুলে গেলে করণীয়
- সঠিক পুষ্টির অভাব
- অতিরিক্ত আইসক্রিম খাওয়া
- ফ্রিজে পানি রেখে পরবর্তীতে তা ঠান্ডা অবস্থায় খাওয়া
- স্যাতস্যাতে পরিবেশে জীবনযাপন করা ইত্যাদি।
- আমাদের অনেক বেশি গলাব্যথার সমস্যা শুরু হয়।
- তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেয়।
- খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা লাগে।
- হা করতে অসুবিধা হয়।
- কানে সবসময় ব্যথা হয়ে থাকে।
- মুখ দিয়ে অনেক সময় লালা বের হয়।
- গলার কন্ঠ ভারি হয়ে যায়।
- মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়।
- ঢোক গিলার সময় ব্যথা অনুভুত হয়।
- গলা ফুলে যায়।
- প্রথমত নতুন করে ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
- গলায় গরম কাপড় জড়িয়ে রাখতে হবে।
- গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।
- লেবু খাওয়া যেতে পারে।
- আদা চা খেলে ব্যথা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- এন্টিবায়োটিক এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।
টনসিল ফোলা কমানোর উপায়
- গরম পানি পান করা।
- হালকা ঠান্ডা তরল পান করা।
- লবন এবং পানি একসাথে মিশ্রিত করে গড়গড়া করা।
- ভাপ নিতে পারেন সময় করে।
- পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে।
- মধু এবং গরম পানি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- লেবুর সাথে পানি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ
- টনসিলের জায়গা লাল হয়ে থাকে।
- খাবার খাওয়ার সময় অনেক অসুবিধা হয়ে থাকে।
- ঢোক গিলতে সমস্যা হয়।
- শরীরে প্রচন্ড জ্বর দেখা দেয়।
- ঘাড়ে ব্যথা হয়ে থাকে।
- কন্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
- শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেয়।
- পেটে অসম্ভব ব্যথা হয়ে থাকে।
- মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা
টনসিল ইনফেকশনের ঘরোয়া চিকিৎসা নিম্নরুপঃ
- আমাদের অল্প পরিমানে গরম পানি নিতে হবে। এর মধ্যে লবন মিশিয়ে তা গলার মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষন বসে থাকতে হবে। পরবর্তীতে গড়গড়া করে ফেলে দিতে হবে। এভাবে করলে টনসিল ইনফেকশন অনেকটা সেরে যায়।
- এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে এক টুকরো লেবুর রস মেশাতে হবে। পরে তার সাথে এক চা চামচ লবন এবং মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এইভাবে খেলে ৩-৪ দিন এর মধ্যে টনসিলের ব্যথা দূর হয়ে যায়।
- গ্রিন টি তে অনেক বেশি এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা জীবানু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। আমরা গ্রিন টির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারি টনসিল ইনফেকশন দূর করার জন্য।
- টনসিল ইনফেকশন দূর করতে আমরা হলুদ এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারি। কারন হলুদে অনেক বেশি পরিমানে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের দেহের ক্ষতিকর জীবানু ধ্বংস করে থাকে।
- টনসিল ইনফেকশন দূর করার জন্য আমরা আদা চা খেতে পারি। কারন আদা তে ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাংগাস দূর করার মত উপাদান থাকে।

টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে
- ডিম দিয়ে তৈরি পুডিং খাওয়া যেতে পারে।
- বিভিন্ন তাজা ফল এবং ফলের রস খেতে হবে।
- ডালিমের রস করে খেতে হবে।
- কলা খাওয়া যাবে।
- চিকেন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
- দুধ এর সাথে হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে।
- মধু খেলে টনসিল ভালো হয়ে যায়।
- আদার রস খেতে হবে।
- চা পান করা যেতে পারে।
- দই খেলে টনসিল ভালো হয়ে যায়।
- ডিম ভুনা করে খেতে হবে।
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
- বিভিন্ন ধরনের জাংক ফুড যেমন- চানাচুর, চিপস, চটপটি, ফুচকা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- টক জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন টক খেলে গলা ব্যথা বেড়ে যায়।
- বাধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন এই ধরনের খাবার টনসিল বাড়িয়ে দেয়।
- মিষ্টি আলু এবং চিনা বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- দুধ এবং দুধ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- যেসকল খাবার কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যেমন- গাজর, কলা, রুটি, মিষ্টি ইত্যাদি কম পরিমানে খেতে হবে।
- এসিডযুক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন – টমেটো, কমলা, বরই, আঙ্গুর, আনারস, কফি এবং চকলেট খেলে টনসিল বেড়ে যায়। যার কারনে এইগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
- চকলেট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- শক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কলা খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ঝাল খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ধুমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- এলকোহল সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
শিশুদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা
- মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করা উচিত।
- কুসুম গরম পানির সাথে লবন মিশিয়ে দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।
- বাচ্চার হাত ভালোমত ধুয়ে দিতে হবে।
- শিশু যেন ভাইরাস বা ফ্লু জাতীয় অসুখ থেকে দূরে থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
- নিয়মিত মধু এবং কালোজিরা খাওয়াতে হবে।

টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ
- Azee XL 200 mg – Syrup – 108/- tk
- Azee 500 mg – Injection – 200/- tk
- Azibact 500 mg – Tablet – 114/- tk
- Trulimax 250 mg – Tablet – 61/- tk
- Ceftas 200 mg – Tablet – 79/- tk
- Bakson 75 mg – Tablet – 190/- tk
- Cefolac 200 mg – Tablet – 128/- tk