দুবাই ভিজিট ভিসা বা দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসা তে মোট খরচ কত হয়
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে আমাদের পোস্ট এর বিষয় হলো দুবাই ভিজিট ভিসা বা দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে। আজকের পোস্ট থেকে আমরা দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন, দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং, দুবাই ভিজিট ভিসা প্রাইস ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
তাহলে চলুন জেনে নেই দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন, প্রসেসিং এবং খরচ সম্পর্কে।
দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
আমরা দুবাই ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে দুইভাবে আবেদন করতে পারি। যেমন-
- এয়ারলাইন্স (Airlines) এর মাধ্যমে
- ট্র্যাভেল এজেন্ট (Travel Agent) মাধ্যমে
উক্ত দুইটির যেকোনো একটির মাধ্যমে আমরা দুবাই যাওয়ার জন্য যে ভিজিট ভিসা থাকে তার জন্য আবেদন করতে পারি। এখন আমরা এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় তা সম্পর্কে জানাবো।
এয়ারলাইন্সের দ্বারা ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
অনেক ধরনের এয়ারলাইন্স আছে যার মাধ্যমে দুবাই যাবার ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। তবে আমরা এখন তার মধ্যে ৪ টি সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন জেনে নেই এয়ারলাইন্সগুলো সম্পর্কে।
- ইতিহাদ এয়ারওয়েজ (Etihad Airways)
- ফ্লাই দুবাই (Fly Dubai0
- ইমিরাতস এয়ারলাইন (Emirates Airline)
- এয়ার এরাবিয়া (Air Arabia)
উক্ত ৪ প্রক্রিয়ার যেকোনো এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারি।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এর মাধ্যমে ভিসার সার্ভিস
দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এ অফেরতযোগ্য ফি দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। ভিসার জন্য আবেদন করার ৩-৪ দিন এর মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। যেকোনো ভিসার মেয়াদ দুইবার বাড়ানো যায় এবং তা সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য।
এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দুবাই এর টাকার খরচ হয় ৯৬০ দিরহামের মত। এছাড়া নিম্নোক্ত ভিসাগুলোর জন্য ভিসার মেয়াদ, প্রবেশের অধিকার এবং ভিসা ফি কত তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদনকৃত অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- এক কপি ৬*৬ ছবি। যার পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে সাদা রংয়ের।
- পাসপোর্ট থাকতে হবে ৬ মাসের মেয়াদ সম্পন্ন
- পাসপোর্টের স্ক্যান করা ১ কপি ফটোকপি।
- সবগুলো টিকিটের ফটোকপি।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ, প্রমাণপত্র, বিবাহের সনদপত্র ইত্যাদি প্রয়োজন।
ইমিরাতস এয়ারলাইন এর মাধ্যমে ভিসার সার্ভিস
দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য ইমিরাতস এয়ারলাইন এ অফেরতযোগ্য ফি দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। ভিসার জন্য আবেদন করার ৩-৪ দিন এর মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। যেকোনো ভিসার মেয়াদ দুইবার বাড়ানো যায় এবং তা সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য।
এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দুবাই এর টাকার খরচ হয় ৮৫০ দিরহামের মত। এছাড়া নিম্নোক্ত ভিসাগুলোর জন্য ভিসার মেয়াদ, প্রবেশের অধিকার এবং ভিসা ফি কত তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- এক কপি রঙিন ছবি। যার সাইজ ৬*৬ হতে হবে।
- পাসপোর্ট থাকতে হবে ৩ মাসের মেয়াদ সম্পন্ন।
- পাসপোর্ট এর স্ক্যান করা ১ কপি ফটোকপি।
- ১ কপি রিটার্ন টিকিট কপি।
ফ্লাই দুবাই এর মাধ্যমে ভিসার সার্ভিস
ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সে ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ফ্লাই দুবাই ট্রাভেল শপ এ যোগাযোগ করতে হয়। যোগাযোগ করার পূর্বে আবেদন ফরম পূরণ করে ট্রাভেল শপে নিয়ে যেতে পারেন।
ভিসার জন্য আবেদন করার ৩-৪ দিন এর মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। এছাড়া নিম্নোক্ত ভিসাগুলোর জন্য ভিসার মেয়াদ, প্রবেশের অধিকার এবং ভিসা ফি কত তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পূরনকৃত ফ্লাই দুবাইয়ের আবেদন ফরম।
- ১ কপি রঙিন সাইজের ছবি।
- পাসপোর্ট থাকতে হবে। যার মেয়াদ ৬ মাস থাকা আবশ্যক।
- জন্ম নিবন্ধন কার্ড বা এন আই ডি কার্ড এর ফটোকপি।
এয়ার এরাবিয়া এর মাধ্যমে ভিসার সার্ভিস
এয়ার এরাবিয়া এর মাধ্যমে ভিসা সার্ভিস পেতে বাংলাদেশ বা দুবাইয়ের এয়ার এরাবিয়া সেলস অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। ভিসার জন্য আবেদন করার ৩-৪ দিন এর মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। এছাড়া নিম্নোক্ত ভিসাগুলোর জন্য ভিসার মেয়াদ, প্রবেশের অধিকার এবং ভিসা ফি কত তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদনকারীর বেতন সর্বনিম্ন ৩০০০ দিরহাম হতে হবে (৩০ দিনের ক্ষেত্রে)
- আবেদনকারীর বেতন সর্বনিম্ন ৫০০০ দিরহাম হতে হবে (৯০ দিনের ক্ষেত্রে)
- পাসপোর্টের ফটোকপি
- রেসিডেন্স ভিসা কপি। যার মেয়াদ ৩ মাস সম্পন্ন হতে হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে ৩ মাসের।
- বেতনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- সর্বনিম্ন ৩ মাসের জন্য একটি চুক্তিপত্র থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট এর ২ কপি ক্যান কপি থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস থাকা আবশ্যক।
- রঙিন ছবি দরকার ২ কপি।
- প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ২৫০০ দিরহাম ক্যাশ ডিপোজিট করতে হবে।
ট্রাভেল এজেন্ট দ্বারা ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
এই মাধ্যমে সিঙ্গেল অথবা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করতে নিম্নোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন। কাগজপত্র গুলো হলঃ
- আবেদনের জন্য পূরণকৃত ভিসার অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
- দুই কপি রঙিন ছবি। যার সাইজ ৪৫*৩৫ হতে হবে।
- একটি পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন যার ন্যূনতম মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে।
- পেশার জন্য প্রমাণপত্র।
- একটি ফরওয়ার্ডিং লেটার। যা দিতে হবে ভিসা অফিসার, এমব্যাসি অফ দুবাই এবং ঢাকায়।
- রিটার্ন টিকিটের কপি।
- হোটেল বুকিং এর কপি।
- ভিজিটিং কার্ডের কপি।
- বাংলাদেশী যেকোনো ২ টি সচল ফোন নাম্বার।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পোস্ট থেকে আমরা দুবাই ভিজিট ভিসা বা ট্যুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে। আজকের পোস্ট থেকে আমরা দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন, দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং, দুবাই ভিজিট ভিসা প্রাইস ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আমাদের দেওয়া তথ্য আপনার কাজে আসবে। যদি কাজে আসে তাহলে আমাদের পেজ ফলো করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
