Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর তা সম্পর্কে জেনে নিন

0 24

নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর তা সম্পর্কে জেনে নিন

 

নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে আমরা নাপা এক্সট্রা ওষুধ সম্পর্কে জানব। আমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর, নাপা এক্সট্রা ঔষধের কাজ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, প্যারাসিটামল ওষুধের কাজ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে। আজকে আমরা উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
চলুন জেনে নেই নাপা এক্সট্রা এবং প্যারাসিটামল ওষুধের গুনাগুন, ব্যবহার, কাজ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে।

নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর

আমরা জ্বর হলে সাধারণত নাপা এক্সট্রা ঔষধ খেয়ে থাকি। এছাড়া মাথাব্যথার সমস্যা দূর করতেও নাপা এক্সট্রা বিকল্প নেই। নাপা এক্সট্রা হলো মূলত প্যারাসিটামল ও ক্যাফেইন এই দুই ওষুধের সমন্বিত মিশ্রণ। প্যারাসিটামল ওষুধ সাধারণত জ্বর এবং ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ক্যাফেইন হচ্ছে অ্যালকালয়েডযুক্ত যৌগ।
ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে ভেসেল টোন বৃদ্ধি করে দেয়। যার ফলে আমাদের মাথা ব্যথা এবং মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হয়ে যায়। চিকিৎসকের মতে, একজন মানুষের ৩২৫ মিলিগ্রামের বেশি না পাওয়া প্যারাসিটামল ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে একটি নাপা এক্সট্রা ঔষধে থাকে ৫৬৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল এবং ক্যাফিনো।
যার কারণে নাপা এক্সট্রা ঔষধ অতিরিক্ত সেবন করা আমাদের লিভার ও কিডনির জন্য অনেক ক্ষতিকর। যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে নাপা এক্সট্রা গ্রহণ করি তাহলে আমাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেহের ফ্যাকাসে ভাব, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা কম লাগা, লিভার ও পেটে ব্যথায় ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল বা নাপা এক্সট্রা গ্রহণ করি তাহলে আমাদের দুই দিনের মধ্যে লিভার বিকল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। অনেকে জানতে চায় নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর। উত্তর হল অতিরিক্ত পরিমাণে নাপা এক্সট্রা বা প্যারাসিটামল সেবন আমাদের হৃৎপিণ্ডেরও ক্ষতি করে থাকে এবং সেইসাথে আমাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নাপা এক্সট্র গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে চুলকানির মতো অসুখ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে যে ধরনের লক্ষণ দেখা যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো। লক্ষণগুলো হলঃ
  • আমাদের ত্বকে লাল রঙের ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ দেখা যায়।
  • আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকা পড়ে এবং সেখান থেকে চামড়া উঠে আসার মতো অবস্থা হয়।
  • ঠান্ডা লাগার মত সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সময় শো শো শব্দ হয়।
  • বুক, গলা ঠান্ডা লাগার কারণে বসে যায়।
  • পরবর্তীতে আমাদের কথা বলতে অনেক সমস্যা হয়।
  • আমাদের মুখমন্ডল এর বিভিন্ন অঙ্গ যেমন ঠোট,জিহ্বা ইত্যাদি ফুলে যেতে শুরু করে।
আরও পড়ুন  ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়: আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখুন
অতিরিক্ত নাপা এক্সট্রা সেবন করলে উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই আমাদের উচিত দিনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি নাপা এক্সট্রা গ্রহণ করা। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে তা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

একটু আগে আমরা নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর এ বিষয় সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। আমরা বিভিন্ন কারণে নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গ্রহণ করি। সাধারণত যখন আমাদের জ্বর, মাথাব্যথা, ঠান্ডা লাগা, স্নায়বিক যন্ত্রণা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে আমরা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট ব্যবহার করে থাকি।
অনেক সময় অসুখ ভালো না হওয়ার কারণে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে এই নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গ্রহণ করে থাকি। কিন্তু আমরা এটা ভুলে যাই যে নাপা এক্সট্রা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। নাপা এক্সট্রা এই ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।
আমরা যেমন আমাদের অসুখ কমাতে খুব বেশি পরিমাণে এটি সেবন করতে পারবো না, অন্যদিকে খুব কম পরিমাণে খেলেও আমাদের অসুখ সারবে না। তাই নাপা এক্সট্রা ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। নিম্নে নিয়ম গুলো উল্লেখ করা হলোঃ
  • দিনে ১-২ টি ট্যাবলেট সেবন করা।
  • ১ টি ঔষধ সেবন করার অন্তত ৪ ঘন্টা পর আরেকটি ঔষধ সেবন করা।
  • ভরা পেটে এই নাপা এক্সট্রা ঔষধ সেবন করা।
  • ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪ টি ঔষধ সেবন করা।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে আমাদের নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে যে পরিমাণ নাপা এক্সট্রা ওষুধের ডোজ লিখে দিবেন ঠিক সেইটাই সেবন করা।

নাপা এক্সটেন্ড এর কাজ কি

নাপা ওষুধ মূলত আমরা জ্বরের ক্ষেত্রে সেবন করে থাকি। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে শুধু জ্বর না অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের অসুখ রয়েছে যে ক্ষেত্রে আমরা এই নাপা ঔষধ ব্যবহার করতে পারি। অনেকেই বলেন নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর।
আসলে নাপা এক্সট্রা ঔষধ ব্যবহারের উপর নির্ভর করে তা আপনার শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে কিনা। নিম্নে নাপা এক্সটেন্ড ঔষধের কি কি কাজ রয়েছে তা উল্লেখ করা হলো।
  • আমাদের শরীরের সাধারণ জ্বর এবং সর্দির জ্বর দূর করে থাকে।
  • বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সংক্রমণ জনিত অসুখ থেকে রক্ষা করে থাকে।
  • মাথাব্যথা এবং দাঁতে ব্যথার মতো ব্যথা দূর করে থাকে।
  • কান এবং শরীর ব্যথা দূর করে থাকে।
  • অনেক সময় আমাদের মস্তিষ্কে স্নায়ুর প্রদাহজনিত ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা দূর করতে নাপা এক্সটেন্ড সেবন করা হয়।
  • মহিলাদের প্রসব ব্যথা, প্রদাহ জনিত ব্যথা ইত্যাদি সময় নাপা এক্সটেন্ড ঔষধ সেবন করা হয়।
  • ছোট শিশুদের টিকা দেওয়ার পরে ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে এ ঔষধ অনেক কর্যকরী।
আরও পড়ুন  ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয় বিস্তারিত জানুন
নাপা এক্সটেন্ড আমাদের শরীরে মূলত উপরোক্ত কাজগুলো করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাত ব্যথা বা অস্থির ব্যথা দূর করে থাকে।
নাপা এক্সটেন্ড এর কাজ কি

নাপা ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়

আমাদের প্রতিদিনের সাধারণ অসুখ সারতে আমরা নাপা ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় আমরা আমাদের যতটুকু ব্যবহার করা দরকার তার থেকেও বেশি সেবন করে থাকি। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যদি আমরা আমাদের প্রতিদিনের সাধারণ জ্বর এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথার জন্য নাপা ট্যাবলেট ব্যবহার করে তাহলে তা একসময় আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়।
কিন্তু এই অভ্যাস আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন জাগে নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে এই প্রশ্নের উত্তর হল অতিরিক্ত পরিমাণে নাপা ট্যাবলেট খেলে উচ্চ রক্তচাপ হয়। যার ফলে আমাদের হৃদপিন্ডের সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আমাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এর মত রোগের ঝুকি বেড়ে যায়।
প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং খারাপ উভই দিক রয়েছে। আবার প্রতিটি জিনিসের উপকার এবং অপকার দুটোই রয়েছে। ওষুধের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি। আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নাপা ট্যাবলেট সেবন করা উচিত। কখনোই প্রয়োজনের অতিরিক্ত সেবন করা ভালো নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

প্যারাসিটামল এক্সট্রা এর কাজ কি

প্যারাসিটামল ওষুধ মূলত মানুষের ব্যথা নাশক ঔষধ হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের ব্যথা উপশমে এই ঔষধ অনেক কার্যকরী। যেমন-
  • পিঠে ব্যথা
  • পেটে ব্যথা
  • আর্থ্রাইটিস
  • মাথা ব্যথা
  • দাঁত ব্যথা ও
  • স্নায়বিক ব্যথা
উপরোক্ত বিভিন্ন ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল এক্সট্রা ঔষধ সেবন করা হয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল ঔষধ গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হলঃ
  • আমাদের বমি বমি ভাব হয়।
  • ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
  • পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয়।
  • ক্ষুধামন্দার মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • দেহে খুব বেশি পরিমাণে এলার্জি সৃষ্টি হয়।
  • আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
  • রক্তস্বল্পতার মত অসুখ আমাদের দেহে তৈরি হয়।
  • সর্বশেষ আমাদের দেহে ক্লান্তি বা অলসতা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন  ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
তাই আমাদের উচিত প্যারাসিটামল এক্সট্রা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা। কারণ আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল গ্রহণ করি তাহলে তা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।

প্যারাসিটামল ৬৫০ এর কাজ কি

আমরা আমাদের পোষ্টের মধ্যে নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর এ বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা প্যারাসিটামল ৬৫০ এর কাজ কি তার সম্পর্কে জানবো। চলুন জেনে নেই প্যারাসিটামল ৬৫০ এর কাজ সম্পর্কে।
  • প্রথমত এটি আমাদের দেহে ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে।
  • সার্জারির ব্যথা উপশমে এই প্যারাসিটামল ৬৫০ ব্যবহার করা হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের ব্যথা যেমন দাঁত ব্যথা, মাথাব্যথা ও স্নায়ুতন্ত্রের প্রদাহ দূর করতে প্যারাসিটামল ৬৫০ অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওষুধ।
  • মেয়েদের মাসিক চক্র বজায় রাখতে প্যারাসিটামল ৬৫০ ব্যবহার করা হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর এই প্যারাসিটামল ৬৫০ ব্যথা ও জ্বরের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • আমাদের হাত ও পায়ের পেশী ব্যথা দূর করতে প্যারাসিটামল ৬৫০ সেবন করা হয়।
প্যারাসিটামল ৬৫০ আমাদের দেহে উক্ত কার্য সাধন করে থাকে। নাপা এক্সট্রা বা সাধারণ প্যারাসিটামলের মতো প্যারাসিটামল ৬৫০ এর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। তবে তা প্রতিটি ওষুধের ক্ষেত্রে একই ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
প্যারাসিটামল ৬৫০

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর, নাপা এক্সট্রা ঔষধের কাজ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, প্যারাসিটামল ওষুধের কাজ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এইসব ঔষধ সেবন করব। কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ সেবন করবো না। কারণ অতিরিক্ত ওষুধ সেবন আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। আমরা এ ধরনের মূল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে শেয়ার করে থাকি। প্রতিদিন পোস্টগুলো পড়তে আমাদের পেজ ফলো করুন এবং সবসময় আমাদের সাথে থাকুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.