নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক

আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। আমাদের শরীরে কি কি সমস্যা বা অসুখ দেখা দিলে আমরা এই ওষুধ সেবন করি, কতটুকু মাত্রায় সেবন করা উচিত, কারা এই ওষুধ সেবন করতে পারবে তা সম্পর্কে জানব।

তাহলে চলুন জেনে নেই নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

 

প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং খারাপ দিক দুটোই রয়েছে। আমরা চাই সবকিছুর ভালো দিকটি ব্যবহার করতে। কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের নিজেদের অজান্তে উক্ত জিনিসের খারাপ ব্যবহার করে ফেলি। যা পরবর্তীতে আমাদের মানসিক, শারীরিক এবং মাঝে মাঝে আর্থিক সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়ায়। এই খারাপ বিষয় ঔষধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

আমাদের শরীরে ছোট সমস্যা থেকে শুরু করে বড় সমস্যা সবকিছুতে আমরা ঔষধের ওপর নির্ভর করে থাকি। জ্বর হলে আমরা সাথে সাথে নাপা খেয়ে নেই। সর্দি হলে কোনো কিছু না ভেবে সর্দি ভালো করার ওষুধ খাই। কিন্তু এইগুলো আমাদের শরীরের জন্য যে ক্ষতিকর তা আমরা বুঝতে পারি না।

আমাদের শরীরে যখন কোনো জীবানু এট্যাক করে তখন আমাদের শরীরে থাকা এন্টিবায়োটিক কোষ বা রক্তকনিকা দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় যেন বাইরে থেকে আসা জীবানু তাপে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমরা ঔষধ খেয়ে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ঠান্ডা করে ফেলি।

যার কারনে সেই জীবানু আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে সমর্থ হয়। আবার আমাদের শরীরে যেকোনো সময় জ্বর আসলেই আমরা যদি ঔষধ খাই। তবে সেক্ষেত্রে একসময় শরীরে থাকা এন্টিবায়োটিক কোষ কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

যার কারনে ঔষধ খেলেও আমাদের বুঝে শুনে খাওয়া উচিত। কোনোসময় অতিরিক্ত ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। অসুখ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ঔষধ সেবন করা উত্তম।

আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করে থাকি। প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজ এর দ্বারা আমাদের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অনিয়মিত ঘুম, খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা ইত্যাদির কারনে আমাদের শরীরে সাময়িক বিভিন্ন অসুখ দেখা দেয়।

এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা নাপা এক্সট্রা ব্যবহার করে থাকি। কারন নাপা এক্সট্রা প্রায় সব ধরনের কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু এইভাবে চলতে চলতে আমরা নাপা এক্সট্রা এই ট্যাবলেট এর ওপর অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্ত হয়ে যাই।

আমাদের যা কিছু হোক না কেন আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করতে থাকি। যার কারনে একসময় আমাদের নাপা এক্সট্রা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শরীরে আরও নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে থাকে।

নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা একটু পরে জানব। এখন চলুন জেনে নেই নাপা এক্সট্রা আমাদের শরীরের কি কি উপকার করে থাকে তা সম্পর্কে।

উপকারসমুহ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

• আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কারনে জ্বর এর সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করে থাকি।
• তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবন, অনিয়মিত ঘুম এবং খাবারের প্রতি অনীহার কারনে আমাদের অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এই মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করে থাকি।
• আমাদের মাথাব্যথার সমস্যা দূর করতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করে থাকি।
• অনেক সময় ঠান্ডা লাগার কারনে আমাদের সর্দি কাশির সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করে থাকি।
• আমাদের কন্ঠনালীতে অনেক সময় প্রদাহের সমস্যা দেখা দেয়। যা আমাদের গলায় ব্যথার সৃষ্টি করে এবং অনেক সময় ক্যান্সারের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা ব্যবহার করে থাকি।
• অতিরিক্ত পরিমানে কানে ময়লা জমলে, ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক এর সমস্যার কারনে আমাদের অনেক সময় কানে ব্যথা শুরু হয়। এই সমস্যা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করে থাকি।
• ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক এর কারনে অথবা নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে আমাদের দাত ব্যথা হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করে থাকি।
• একটানা বসে থাকা এবং শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেশি হয়ে গেলে আমাদের পিঠে ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করতে পারি।
• আমাদের শরীরে অনেক সময় বাতে ব্যথার মত সমস্যা হয়ে থাকে। এই বাতব্যথার সমস্যা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা ব্যবহার করে থাকি।
• অনেক সময় শরীরের প্রতি অনিয়মের কারনে আমাদের মাংশপেশীতে ব্যথা হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে বাচতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করতে পারি।
• আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা এবং স্নায়ুর সমস্যার কারনে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করতে পারি।
• মহিলাদের ঋতুস্রাব জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারনে নাপা এক্সট্রা সেবন করা যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ নাপা এক্সট্রা কি ক্ষতিকর বিস্তারিত পড়ুন

এতক্ষন আমরা নাপা এক্সট্রা খেলে শরীরের কোন অসুখের সমাধান হয়ে থাকে তা সম্পর্কে জানলাম। একটু পরে আমরা নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানবো। এখন চলুন জেনে নেই নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট সেবন করার মাত্রা এবং নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নেই।

• প্রাপ্তবয়স্ক – ১-২ টি ট্যাবলেট ৪ ঘন্টা পর পর।
• বয়স ১২ বছর – ১ টি ট্যাবলেট ৬ ঘন্টা পর পর।
• বয়স ১২ বছরের কম – এই ঔষধ শিশুদের ক্ষেত্রে না দেওয়াই উত্তম।
• ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এতক্ষন আমরা নাপা এক্সট্রা খাওয়ার নিয়মাবলি সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। ক্ষতিকর দিকগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

• যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমানে নাপা এক্সট্রা খাই তবে আমাদের কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়।
• অতিরিক্ত পরিমানে নাপা এক্সট্রা সেবন না করাই ভালো। কারন এতে করে আমাদের লিভারের সমস্যা দেখা দেয়।
• আমাদের মাথা ঘোরার মত সমস্যা দেখা দেয়।
• চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে।
• ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনজনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
• যখন আমরা নাপা এক্সট্রা সেবন করবো তখন আমাদের অতিরিক্ত পরিমানে চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
• নাপা এক্সট্রা সেবনকালে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।

আজকের পোস্ট থেকে আমরা নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। আম্রয়া এই পোস্ট প্রতিনিয়ত আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করে থাকি। নিয়মিত পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।