Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয় কি বিস্তারিত জানুন

0 3
আজকে আমাদের পোস্ট এর বিষয় হলো ফ্ল্যাট কেনা সম্পর্কে। অনেকেই জানতে চান ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয়, ফ্লাটের মালিকানা কত বছর, ফ্ল্যাট কেনার চুক্তিপত্র, পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। এখন আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয়
তাহলে চলুন জেনে নেই ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতার বিভিন্ন করণীয় বিষয় সম্পর্কে।

ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয়

ফ্ল্যাট কেনার আগে আমাদের অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আমরা যে ফ্ল্যাট কিনবো তা আমাদের চলাফেরা, ঘুম, আত্নীয়রা আসলে পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে কি না সেগুলো বিষয় নিয়ে আমাদের খুটিনাটি জেনে রাখা উচিত। অনেক সময় যারা ফ্ল্যাট তৈরি করেন তারা বিভিন্ন খারাপ ফ্ল্যাট আমাদের অফারের মাধ্যমে দিয়ে দেয়।
আমরাও সেইসব ফ্ল্যাট কোনোদিকে না তাকিয়ে নিয়ে নেই। পরে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমাদের উচিত ফ্ল্যাট কেনার আগে সবকিছু দেখে নেওয়া। এখন আমরা জানবো ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ফ্ল্যাট কেনার আগেই আমাদের দেখে নিতে হবে ওই ফ্ল্যাটের আশেপাশে যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন। ফ্ল্যাটের আশেপাশে অবশ্যই স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার ও আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপ্ত্রের দোকান আছে কি না তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। যদি এসব কিছু থেকে থাকে তাহলে অনায়াসে ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।
সামর্থ্য অনুযায়ী ফ্ল্যাট নির্বাচন
আমরা অনেক সময় আমাদের সাধ্যের বাইরে গিয়ে লোন নিয়ে তারপর ফ্ল্যাট কিনে থাকি। কিন্তু তা অনেক সময় আমাদের মানসিক চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত যে, আমাদের আয় এবং খরচের ওপর নির্ভর করে ফ্ল্যাট কিনা উচিত। এতে করে আমাদের অতিরিক্ত চিন্তা করার প্রয়োজন পড়বে না।
ফ্ল্যাটের পজিশন
যদি ফ্ল্যাট রাস্তার পাশে হয় তবে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- গাড়ির হর্ন, রাস্তার বিভিন্ন কোলাহল, ধুলাবালি ইত্যাদির মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই ফ্ল্যাট কেনার সময় আমাদের উচিত একেবারে রাস্তার ধারে না নিয়ে রাস্তা থেকে কিছুটা দুরত্বে নেওয়া। কমপ্লেক্সের ভেতরে নিলে সবথেকে ভালো হয়।
পর্যাপ্ত পানি ও গ্যাস সাপ্লাই এর সুবিধা
আমরা অনেক সময় বেছে বেছে সবথেকে সুন্দর ফ্ল্যাট কিনে থাকি। কিন্তু ফ্ল্যাটে ওঠার পর আমাদের পানি ও গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই ফ্ল্যাট কেনার আগে আমাদের দেখে নেওয়া উচিত ফ্ল্যাটে পানি ও গ্যাসের সাপ্লাই ঠিকমত আছে কিনা।
ফ্ল্যাট সংস্কারের প্রয়োজন আছে কি না
অনেক সময় ফ্ল্যাট কেনার পর দেখা যায় ফ্ল্যাটের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সাজ এবং সস্কারের জন্য আবার নতুন করে অর্থ খরচ করতে হবে। এতে দেখা যায় আমাদের সময়, শ্রম এবং অর্থ সবকিছুর ক্ষতি হয়ে যায়। তাই ফ্ল্যাটে ওঠার আগে আমাদের এইগুলা দেখে নেওয়া উচিত।
পারকিং স্পেস
যদি ফ্ল্যাটে যথেষ্ঠ পরিমানে পারকিং স্পেস না থাকে তবে আমাদের গাড়ি রাখার জন্য নানা ধরনের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। তাই ফ্ল্যাট কেনার আগে এই বিষয়টি অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত।
ফ্ল্যাটের নির্মাণ সামগ্রী
ফ্ল্যাট কেনার আগে আমাদের অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত ফ্ল্যাট তৈরি করার সময় কোন ধরনের উপকরন ব্যবহার করা হয়েছিল। যদি তা ভালোমানের না হয় তবে আমাদের সেই ফ্ল্যাট কেনা উচিত নয়।
রিহ্যাবের সদস্য
আমরা যে ফ্ল্যাট কিনবো তা অবশ্যই রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে যাকে রিহ্যাব বলা হয়, তার সদস্য হতে হবে। কারন অনেক সময় প্রতারনার শিকার হলে আমরা এই রিহ্যাবের কাছে অভিযোগ করতে পারবো।
চুক্তিপত্র ঠিকঠাক কি না
আমরা ফ্ল্যাট কেনার সময় যে কোম্পানির সাথে চুক্তি করবো সেখানে অবশ্যই একজন দক্ষ আইনজীবী কে সাথে রাখতে হবে। সব চুক্তিনামা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে। আমাদের ফ্ল্যাট কেনার চুক্তিনামা এবং কিস্তির চুক্তিনামা অবশ্যই সুস্পষ্ট করে লিখে রাখতে হবে।
রিসেল ভ্যালু
আমরা যে ফ্ল্যাট কিনবো তার অবশ্যই রিসেল ভ্যলু চেক করে নেওয়া উচিত। কারন পরবর্তীতে যদি আমরা ফ্ল্যাট টা বিক্রি করি তাহলে যেন রিসেল ভ্যলু একটু ভালো পাওয়া যায় সেটা মাথায় রাখতে হবে।
ফ্ল্যাটের জমি
অনেক সময় দেখা যায় আমরা যে ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী তা কোনো খাস জমির ওপর নির্মিত। যেটা পুরোপুরি সরকারের অধীনে থাকে। তাই আমাদের এই বিষয়টিও দেখে নেওয়া উচিত।

ফ্লাটের মালিকানা কত বছর

একটু আগে আমরা ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয় সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা ফ্ল্যাটের মালিকানা আসলে কত বছর তা সম্পর্কে জানবো। ফ্ল্যাটের মালিকানার বিষয়টি দুইভাবে বিবেচনা করা হয়।
  • রাজউক কর্তৃক
  • ব্যাক্তিমালিকানাধীন
আরও পড়ুন  সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
ব্যাক্তিমালিকানাধীন ফ্ল্যাট এর ক্ষেত্রে সারাজীবন এর জন্য একজন ফ্ল্যাট ক্রেতার কাছে মালিকানা হস্তান্তর করা হয়। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারনে ভবনের ক্ষতিসাধন হয়ে থাকলে যেমন- কোনো কারনে ভবন ধ্বংস এইরকম বিষয় হলে ব্যক্তিমালিকানা পুনরায় নির্ধারণ করা হতে পারে।
আর রাজউক কর্তৃক আমাদের যে ফ্ল্যাট দেওয়া হয় সেখানে যতদিনের কথা উল্লেখ থাকবে আমরা ততদিনের জন্য সেখানে থাকতে পারবো। তা হতে পারে ১০০ বছরের জন্য অথবা সারাজীবনের জন্য।

পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম

পূর্বে আমরা ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার কিছু নিয়ম সম্পর্কে জানবো। আমরা অনেক সময় নতুন ফ্ল্যাট এর পরিবর্তে পুরনো ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। কারন পুরনো ফ্ল্যাট অনেক কমদামে পাওয়া যায়।
তবে অনেক সময় পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার পর আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এখন আমরা জানবো পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার আগে কোন নিয়মগুলো মানতে হয়।
বিনিয়োগের সুবিধা
অনেক সময় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নতুন ফ্ল্যাট এর খোজ করেও তা পাওয়া যায় না। আবার সেসব জায়গাতে বিনিয়োগ করারও সুযোগ খুবই কম। যার কারনে সেখানে প্রোপার্টি ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে পুরাতন ফ্ল্যাট বিল্ডার এর কাছে দিয়ে সেখানে আবার নতুন করে বিল্ডীং বানানো যায়, সেই মাধ্যম অবলম্বন করতে হয়। কারন সেখানে জমির মালিকের এক টাকাও খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
পরিপূর্ণ ফ্ল্যাট
পুরোনো ফ্ল্যাট এর মানে হলো একটা পরিপূর্ণ ফ্ল্যাট। যেখানে বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জা বা নতুন করে ফাংশনিং করার প্রয়োজন পড়ে না। পুরাতন ফ্ল্যাট কিনলে আমাদের নতুন ফ্ল্যাট তৈরি করার মত ঝামেলা থাকে না। নতুন করে বিভিন্ন ইউটিলিটির সংযোগ দিতে হয় না। জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের খরচের প্রয়োজন হয় না।
পুরনো ফ্ল্যাট সাশ্রয়ী
নতুন ফ্ল্যাট এর তুলনার পুরাতন ফ্ল্যাট অনেক বেশি সাশ্রয়ী। কারন নতুন ফ্ল্যাটে ওঠার পর সাজসজ্জা এবং ইন্টেরিয়র বিভিন্ন কাজের জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হয়। পুরনো ফ্ল্যাটে এই ঝামেলা থাকে না। যার কারনে নতুন ফ্ল্যাটের তুলনায় পুরনো ফ্ল্যাট অনেক সাশ্রয়ী হয়ে থাকে।

ফ্ল্যাট কেনার চুক্তিপত্র

ফ্ল্যাট কেনার আগে আমাদের চুক্তিপত্রে সাইন করে নিতে হয়। আর এই চুক্তিপত্র অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। আমরা অনেক সময় চুক্তিপত্র না দেখেই চুক্তিনামায় সাইন করে দেই। যার কারনে আমাদের পরবর্তীতে বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এই ভোগান্তি দূর করার জন্য চুক্তিপত্রের ক্ষেত্রে নিচের নিয়মগুলো দেখে নিতে হবে।
  • চুক্তিপত্রে থাকা সময়সীমা সঠিক কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
  • চুক্তিপত্রে অনেক সময় %হারে সুদের কথা উল্লেখ থাকে। এই বিষয়টিও অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
  • চুক্তিনামায় ফ্ল্যাট তৈরি করার সময় বিভিন্ন কারনে যদি কাজ বন্ধ হয়ে যায় তবে তার নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
  • চুক্তিনামার শর্তগুলো কার স্বপক্ষে থাকছে যা যাচাই করে নিতে হবে।
  • জমির পরিমান দেখে নিতে হবে এবং জমির দলিলের সাথে তা মিলিয়ে নিতে হবে।
  • সবশেষে দেখে নিতে হবে যে, যিনি ফ্ল্যাট কিনছেন তার যেন পরবর্তীতে কোনো ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়। এইসব বিষয়গুলো চুক্তিনামায় দেখে নিতে হবে।
আরও পড়ুন  ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার ৫ উপায়: যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী করা যায়

ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম

পূর্বে আমরা ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয়, ফ্লাটের মালিকানা কত বছর, পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম সম্পর্কে জানবো।
  • ফ্ল্যাটটি আইনানুগ নিবন্ধন করা আছে কি না দেখে নিতে হবে।
  • ডেভেলপাররা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করার পরেও অন্তত ১ বছর রক্ষনাবেক্ষন করবেন।
  • ফ্ল্যাট হস্তান্তরের আগে রিয়েল এস্টেট এর ১১ ধারা অনুযায়ী সমস্ত ইউটিলিটি সার্ভিস নিশ্চিত করে তারপর ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে হবে।
  • কিস্তি অনুযায়ী ফ্ল্যাট কিনলে ক্রেতা এবং ডেভেলপারের কাছে অবশ্যই লিখিত থাকতে হবে।
  • জমির বায়নানামা, সাবকবলা দলিল রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
  • দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়ে গেলে তার নকল তুলতে হবে এবং সেটাও রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে।
  • জমির মুল রসিদ তোলা পর্যন্ত এই রসিদ্গুলো ভালোভাবে সংরক্ষন করে রাখতে হবে।

ফ্ল্যাট কেনার সুবিধা অসুবিধা

সুবিধাসমুহ
  • পুরনো ফ্ল্যাট কেনা অনেক সময় আমাদের জন্য লাভজনক হয়ে থাকে।
  • পুরনো ফ্ল্যাট কেনার পর কিছু টাকা খরচ করে সংস্কার করলে পরবর্তীতে এর মুল্য বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • পরবর্তীতে ফ্ল্যাট বিক্রি করার সময় দাম নিয়ে কথাবার্তার সুযোগ রয়েছে।
  • পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে আমাদের ইট, বালি বা অন্যান্য কাচামাল এর খরচ নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না।

 

অসুবিধাসমুহ
  • পুরাতন ফ্ল্যাটে সব সুযোগ সুবিধা থাকে না।
  • পুরাতন ফ্ল্যাট নিজের মত করে নিতে অনেক সময় টাকা খরচ করতে হয়।
  • পুরাতন ফ্ল্যাট এর অনেক সময় দাম কমে যায়।

ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয় (FAQ)

প্রশ্ন; ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন এর মোট খরচ কত?

উত্তরঃ

  • ফ্ল্যাটের আয়তন যদি ১-১৬০০ বর্গফুট হয় তখন – ২% ।
  • ১৬০১ থেকে বেশি – ৪.৫ %
  • নতুন করে রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে – ২%
প্রশ্নঃ ফ্ল্যাটের মালিকানা কত বছর হয়ে থাকে?
উত্তরঃ সাধারনত ইজারা সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৯৯ বছরের জন্য মালিকানা ধরা হয়।
প্রশ্নঃ ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করতে কি লাগে?
উত্তরঃ চুক্তিপত্র, আবেদনকারীর পরিচয়পত্রের কপি, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, নমুনা সাক্ষর, ফি দেওয়ার রসিদ।

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা ফ্ল্যাট কেনার আগে ক্রেতার করনীয়, ফ্লাটের মালিকানা কত বছর, ফ্ল্যাট কেনার চুক্তিপত্র, পুরাতন ফ্ল্যাট কেনার নিয়ম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন।
আমরা এই ধরনের মূল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। আমাদের পোস্টগুলো প্রতিনিয়ত পড়তে পেজ ফলো করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.