বড়দের নিউমোনিয়া রোগের ১২টি লক্ষণ সম্পর্কে জানুন
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ
- শরীরে অনেক বেশি পরিমানে জ্বর চলে আসে।
- শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ক্লান্তি চলে আসে।
- শরীর থেকে অনেক বেশি পরিমানে ঘাম হয়ে থাকে।
- প্রচন্ড কাশির সমস্যা শুরু হয়।
- আমাদের শ্বাসকষ্টের মত সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- কোনো কারন ছাড়াই শরীরে কাপুনি দিয়ে ওঠে।
- বুকে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- নিঃশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়।
- প্রচন্ড পরিমানে মাথাব্যথা করতে থাকে।
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে পেশীতে অনেক বেশি ব্যথা করে।
- খাবার খাওয়ার প্রতি অনীহা চলে আসে।
- হঠাত কোনো কারন ছাড়া বমি ভাব বা বমি শুরু হয়।
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- আমাদের অনেক বেশি পরিমানে কাশি হতে থাকে এবং কাশির সাথে শ্লেষা বের হয়।
- আমাদের নিঃশ্বাসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- নিঃশ্বাস নেওয়া বা কাশির সময় বুকে অনেক বেশি পরিমানে ব্যথা হয়।
- আমরা যখন শ্বাস নেই তখন বুকে ঘড়ঘড় আওয়াজ হয়ে থাকে।
- শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
- আমাদের শরীরে ক্লান্তি এবং অবসাদ চলে আসে।
- খাবারের ক্ষেত্রে অনীহা চলে আসে।
- দীর্ঘদিন পর্যন্ত কাশি হয়ে থাকে।
- কাশি হওয়ার সাথে আমাদের রক্ত যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- এন্টি-বায়োটিক দেওয়া।
- কফ পরিক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ প্রদান।
- সবসময় জ্বরের পরিমান নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করা।
- রোগীকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
- আমাদের ধুমপান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- সমস্যা দেখা দিলে সবার ক্ষেত্রেই ফ্লু ভ্যাক্সিন দিয়ে নেওয়া।
- সর্দি কাশির সময় নাকে মুখে রুমাল দিয়ে রাখা।
- ধুলা এং ধোয়াযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলা।
- সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা।
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- বাচ্চার নিঃশ্বাস নিতে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে।
- কাশির সমস্যা দেখা দেয়।
- ছোট বাচ্চার বুকে ব্যথা শুরু হয়।
- বুকের মধ্যে সবসময় ঘরঘর আওয়াজ হতে থাকে।
- শিশুর সারাদেহে ব্যথা অনুভব করতে থাকে।
- শিশু অনেক বেশি পরিমানে ক্লান্ত হয়ে থাকে।
- শিশুর খাবার খাওয়ার প্রতি ইচ্ছা কমে যায়।
- শিশুদের বয়স এবং সময় অনুযায়ী হাম, হুপিং কাশি এবং নিউমোকক্কাস এর টিকা দিয়ে নেওয়া উচিত।
- জন্মের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো।
- যদি শিশুর দেহে নিউমোনিয়া দেখা যায় তবে স্যুপ জাতীয় খাবার খাওয়ানো।
- শিশুকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাশির ওষুধ খাওয়ানো।
- শিশুকে গরম জায়গায় রাখার চেষ্টা করা।
বড়দের নিউমোনিয়া রোগের ১২টি লক্ষণ
- শরীরে কাপুনি দিয়ে জ্বর চলে আসে।
- শরীরে ক্লান্তি চলে আসে এবং কাজের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত পরিমানে শরীর থেকে ঘাম বের হতে থাকে।
- প্রচন্ড কাশির সমস্যা শুরু হয় এবং অনেক সময় কাশির সাথে রক্ত বের হয়ে থাকে।
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।
- ঠান্ডা লাগা ছাড়াই দেহে কাপুনির দিয়ে থাকে।
- বুকে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- নিঃশ্বাস নিতে অনেক বেগ পেতে হয়।
- আমাদের প্রতিনিয়ত মাথাব্যথার মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং পেশীতে ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- খাবার খাওয়ার প্রতি আমাদের অনীহা চলে আসে।
- হঠাত করে বমি ভাব দেখা দেয় এবং বমি হয়ে থাকে।
বাচ্চাদের নিউমোনিয়ার লক্ষণ
- শিশুর দেহে অনেক বেশি পরিমানে জ্বর দেখা দেয়।
- কাশির সমস্যা শুরু হয়।
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়।
- অনেক দ্রুত নিঃশ্বাস আসা যাওয়া করে।
- শিশুর খাওয়ার সমস্যা শুরু হয়।
- ঘুমাতে অনেক সমস্যা হয়।
- বুকে ঘরঘর আওয়াজ হয়ে থাকে।
- শিশু অনেক বেশি পরিমানে কান্নাকাটি করে।
নিউমোনিয়ার এন্টিবায়োটিক
- ওম্নিকার ৬২৫ এমজি ট্যাব্লেট।
- ওফুক্সিন ২০০ এমজি ইনজেকশন।
নিউমোনিয়া রোগীর খাবার
- সহজে হজম হয় এই ধরনের খাবার রোগীকে দেওয়া উচিত।
- কারবোহাইড্রেট জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত। কারন এই ধরনের খাবার শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে।
- প্রোটিন এবং চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
- দুধ এই সময়ে শরীরের জন্য অনেক উপকার সাধন করে থাকে।
- নারিকেলের পানি খাওয়া উচিত।
- ঘোল খেলে নিউমোনিয়ার প্রভাব কিছুটা কম হয়।
- নিউমোনিয়ার মাত্রা কমাতে আমরা পনির, ডাল এবং লেবু খেতে পারি।
- সবুজ শাকে অনেক বেশি পরিমানে ভিটামিন এবং এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- গরম স্যুপ এই সময়ে খাওয়া উচিত।
- টক দই এর মত খাবার খাওয়া উচিত।
- অতিরিক্ত ঠান্ডাজাতীয় কিছু খেতে পারবে না।
- যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবন ব্যবহার করা হয় সেসব খাবার না খাওয়াই ভালো।
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।
- ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার থেকে বিরিত থাকা।
নিউমোনিয়া কি ছোঁয়াচে
নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা
- রোগ সারানোর জন্য এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়।
- ছত্রাকের ওষুধ দেয়া হয়ে থাকে।
- কাশির বিভিন্ন সিরাপ সম্পর্কে বলা থাকে।
- জ্বর সারানোর জন্য বিভিন্ন ঔষধ সেবনের কথা বলা হয়ে থাকে।