বড়দের মাম্পস হলে কি করণীয়-মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
বড়দের মাম্পস হলে কি করণীয়-মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
বড়দের মাম্পস হলে কি করণীয়
মাম্পস কেন হয়
মাম্পস কতদিন থাকে
মাম্পস এর ঔষধ
- মাম্পস এর সময় শরীরে জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল সেবন করতে বলা হয়।
- চোয়ালের ফোলার জন্য ইবুপ্রোফেন ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- মেসেলস, রুবেলার এবং মাম্পস এর টিকা দিতে হয়।
মাম্পস রোগীর খাবার
- রোগীকে অনেক বেশি পরিমানে পানি পান করাতে হয়।
- তরল খাবার যেমন- স্যুপ এবং ঝোলজাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত।
- এই সময় রোগীকে লজেন্স দেওয়া হয়।
- গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করানো হয়।
- খালি আদা চিবানো বা আদা দিয়ে তৈরি চা খাওয়ানো হয়।
মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- আমরা খালি আদা বা আদা দিয়ে তৈরি চা খেতে পারি। কারন আদা তে অনেক বেশি পরিমানে এন্টি-ইনফ্লেমটরি এবং এন্টিভাইরাল উপাদান বিদ্যমান থাকে। এই উপাদান আমাদের মাম্পস এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- হরিতকি তে অনেক বেশি পরিমানে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টিবায়োটিক উপাদান বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের মাম্পস এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- এলভেরা জেল এর সাথে হলুদ মিশিয়ে গলাতে ম্যাসেজ করলে গলার যন্ত্রনা অনেকটা কমে যায়।
- শতমুলীও আমাদের যন্ত্রনা কমাতে সাহায্য করে।
- কুসুম গরম পানিতে ডুমুর পাতা ভিজিয়ে রেখে তা ফোলা জায়গায় লাগালে আমাদের ফোলা জায়গার যন্ত্রনা দূর হয়ে যায়।

মাম্পস হলে কি গোসল করা যায়
মাম্পস এর জটিলতা
- আমাদের শরীরে অনেক বেশি জ্বর হয়।
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা শুরু হয়।
- আমাদের স্বাভাবিক জ্ঞান দুর্বল হয়ে পড়ে।
- ঘাড় শক্ত হয়ে যায়।
- অনেক বেশি পেটের ব্যথা শুরু হয়।
- অন্ডকোষে অনেক বেশি পরিমানে ব্যথা এবং ফুলে যায়।
- তলপেটে অনেক বেশি পরিমানে ব্যথা হয়ে থাকে।
মাম্পস এর লক্ষণ
- আমাদের চোয়ালের দুই পাশে অনেক বেশি ফুলে যায়।
- চোয়ালে অনেক বেশি ব্যথা করে।
- মাথাব্যথার মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
- মাংসপেশি এবং মুখের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়ে থাকে।
- মুখ সবসময় শুকনা হয়ে থাকে।
- ক্ষুধার পরিমান অনেক কমে যায়।
- কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং জ্বরের তাপমাত্রা অনেক বেশি হয়।
- আমাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং অল্প কাজে আমরা ক্লান্তিবোধ করি।
- শরীরে বিরক্তির ছাপ দেখা যায়।
বড়দের মাম্পস হলে কি করণীয় – মাম্পস হলে কি করণীয়
- রোগীকে অনেক বেশি তরল খাবার দেওয়া।
- লবন পানি দিয়ে কুসুম গরম পানির সাহায্যে গড়গড়াসহ কুলি করা উচিত।
- প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
- ঘাড় এবং মাথায় পানি দিয়ে রাখতে হবে।
- রোগীকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে।
- রোগীর ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্র আলাদা করে রাখতে হবে।
- সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
- বেশি সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।
