Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

0 3

ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা

আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের পোস্টে আমরা ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা, ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক, ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা

চলুন জেনে নেই ব্রয়লার মুরগির বিভিন্ন দিক নিয়ে।

ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা

আমাদের প্রতিদিনের খাবারে অনেক সময় ব্রয়লার মুরগির মাংস খেয়ে থাকি। ব্রয়লার মুরগির মাংস অনেক নরম এবং সুস্বাদু। ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার উপযোগী হতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগে। এই সময় ব্রয়লার মুরগির ওজন হয় এক থেকে দুই কেজি মতো। ব্রয়লার মুরগী না ডিম পাড়ার আগেই বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
  • ফার্মে ব্রয়লার মুরগিকে বিভিন্ন ধরনের ক্যামিক্যাল যুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়, মোটাতাজা করানোর জন্য। যখন আমরা পরবর্তীতে এই ব্রয়লার মাংস খাবার হিসেবে গ্রহন করি, তখন আমাদের দেহে মাংসের সাথে বিভিন্ন ধরনের ক্যামিক্যাল প্রবেশ করে। যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • ব্রয়লার মুরগি খেলে আমাদের দেহে ক্যান্সার, হৃদপিন্ডের বিভিন্ন সমস্যা সহ শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিসাধন হয়। এখন চলুন জেনে নেই ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে।
  • ফার্মে ব্রয়লার মুরগিকে অনেক বেশি পরিমানে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের মানুষদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ এই এন্টিবায়োটিক মানুষের ব্রেনের ক্ষতি করে।
  • যখন আমরা ব্রয়লার মুরগি খাবার হিসেবে গ্রহণ করি, তখন ব্রয়লার মুরগিতে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক এর প্রভাবে মানবদেহের অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট নামে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তার প্রভাব কমে যায়। ফলে আমাদের শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধে।
  • ব্রয়লার মুরগি রান্না সময়ে এক ধরনের পদার্থ উৎপন্ন হয়। যার নাম কারসিনোজেনিক। এই পদার্থ একজন মানুষের শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দিতে সক্ষম।
  • বয়লার মুরগিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তার কারণে ব্রয়লার মুরগি অতিরিক্ত খেলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ব্রয়লার মুরগী খেলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এই কোলেস্টেরললের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে মানবদেহে ক্যান্সারের জন্ম দেয়। যা মোটেও ভালো বিষয় নয়।
  • ফার্মে ব্রয়লার মুরগিকে মোটা দেখানোর জন্য সিন্থেটিক নামে এক ধরনের হরমোন দেওয়া হয়। যদি একজন স্বাভাবিক পুরুষ প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগি খাবার হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে অন্যান্য পুরুষের তুলনায় তার প্রজনন ক্ষমতা কমে যাবে।
  • ব্রয়লার মুরগিকে সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিক প্রয়োগ করা হয়। এই আর্সেনিক মানবদেহে মস্তিষ্কের সমস্যা, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের মতো অসুখের জন্ম দিতে সক্ষম।
  • গবেষকরা বলেন ব্রয়লার মুরগিতে ৬৫-৭০% কলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা একজন মানুষের ফুড পয়জনিং এর মত সমস্যা সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন  ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করার পদ্ধতি: একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড
উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য বলা যায়, ব্রয়লার মুরগি একজন মানুষের জন্য কতটা ভয়াবহ হতে পারে।তাই আমাদের উচিত আমিষের প্রয়োজন মেটাতে ব্রয়লার মুরগি যদি খাবার হিসেবে গ্রহণ করি তবে তা পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা।

পোল্ট্রি মুরগি খাওয়া নিষেধ কেন

ফার্মে বড় হওয়া বয়লার অথবা পোল্ট্রি মুরগি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ একটু আগে আমরা ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আরো জেনেছি ব্রয়লার মুরগি বড় করার সময় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল এবং উপাদানের প্রয়োগ করা হয়। যা একজন মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ব্রয়লার মুরগিতে কোলেস্টেরল, বিভিন্ন ধরনের দূষক, কোলেস্টেরল ইত্যাদি থাকে। যার কারণে আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা অসুখের সৃষ্টি হয়।তাই পোল্ট্রি মুরগি অথবা ব্রয়লার মুরগি খুব সীমিত পরিমানে খাওয়া উচিত। ফার্মের মুরগি বা আমরা যাকে পোল্ট্রি মুরগি নামে চিনি যখন তা ফার্মে থাকে থাকে চামড়ার বর্জ্য দ্বারা তৈরি এক ধরনের খাবার দেওয়া হয়।
চামড়ার বর্জ্য দ্বারা তৈরি খাবারে থাকে বিষাক্ত ক্রোমিয়াম। যা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ব্রয়লার মুরগি বা পোল্ট্রি মুরগি রান্না করলেও এই ক্রোমিয়াম খুব সহজে নষ্ট হয় না। কারণ ক্রোমিয়ামের তাপ সহ্য ক্ষমতা হলো ২৯০০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগেড এর কাছাকাছি।
আমরা যখন ব্রয়লার মুরগি রান্না করি তখন আমাদের চুলায় আগুনের তাপ সর্বোচ্চ ১০০-১৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে। তাই রান্না করলেও এই ক্রোমিয়াম নষ্ট হয় না। রান্নার পরবর্তী সময়ে আমরা যখন এই মাংসকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করি তখন বিষাক্ত ক্রোমিয়ামও আমাদের দেহে প্রবেশ করে। যার কারণে লিভার, কিডনী, মস্তিষ্ক ইত্যাদির বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি এক কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংসে ক্রোমিয়াম এর পরিমাণ থাকে ৩৫০-৪০০ মাইক্রগ্রাম। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির হাড়ে ১৫০০-২০০০ মাইক্রগ্রাম এর মত ক্রোমিয়াম থাকে। ব্রয়লার মুরগির বা পোল্ট্রি মুরগির খোলে যায় ৬১০ মাইক্রো গ্রাম এর মত ক্রোমিয়াম থাকে।মগজে এবং রক্তে ক্রোমিয়ামের পরিমাণ থাকে ৪৫০০ গ্রাম ও ৮০০ গ্রাম এর মত প্রায়।
একজন মানুষ সর্বোচ্চ ৩৫ মাইক্রগ্রাম এর মত ক্রোমিয়াম গ্রহণ করতে পারে। যখন ক্রোমিয়াম গ্রহণ করার মাত্রা এর থেকে বেশি হয়ে যাবে, তখন তা দেহের জন্য ক্ষতিকর। যদি আমরা ২০০ গ্রাম এর মত মাংস খাই তখন আমাদের দেহে ৭০ মাইক্রোগ্রাম এর মত ক্রোমিয়াম প্রবেশ করে।
তাই আমাদের ব্রয়লার মুরগি বা পোল্ট্রি মুরগি খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী। সীমিত পরিমানে এই মুরগির মাংস খাওয়া উচিত। আর এই মুরগির মাংস আমাদের খাদ্য তালিকায় এক সপ্তাহ পর পর রাখলে তা আমাদের জন্য ভালো হয়।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা

ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিকের পাশাপাশি এর উপকারি দিকসমূহ লক্ষ্য করা যায়। কারণ ব্রয়লার মুরগিতে কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের দেহের জন্য উপকারী। একটু আগে আমরা ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে নেই উপকারিতা সমূহ সম্পর্কেঃ
  • ব্রয়লার মুরগির মাংস অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন বিদ্যমান। যা মানব দেহের পেশিকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।
  • ব্রয়লার মুরগীর মাংসে খুব কম পরিমাণে চর্বি থাকে। যা একজন উচ্চ রক্তচাপ এর রোগীর খাদ্যের জন্য আদর্শ উচ্চ হতে পারে।
  • ব্রয়লার মুরগির মাংসে এক ধরনের উপাদান থাকে। যার নাম ট্রাইটোফেন। এটি হলো এক ধরনের অ্যামিনো এসিড। যা একজন মানুষের মস্তিষ্কে নিঃসৃত সেরেটোনিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে উক্ত ব্যক্তি চাপমুক্ত থাকে।
  • ব্রয়লার মুরগির মাংস মানব দেহের হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
  • ব্রয়লার মুরগির মাংসের আরেকটি উপাদান থাকে, যার নাম হোমোক্রিস্টাইল। এই উপাদান একজন মানুষের হার্ডকে ভালো রাখে।
  • ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগির মাংসের প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে। এই ফসফরাস একজন মানুষের দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য গঠনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া লিভার, কিডনি এবং স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • ভিটামিন বি-৬ নামে ব্রয়লার মুরগির মাংসে এক ধরনের ভিটামিন থাকে। যা একজন মানুষের দেহের হজম শক্তি বাড়াতে সক্ষম।
  • নিয়াসিন নামক এক ধরনের ভিটামিন শরীরকে ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখে।
  • পোল্ট্রি বা ব্রয়লার মুরগির মাংসে আলফা এবং বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন ইত্যাদি থাকে। যা একজন মানুষের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন  গেমিং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা: ৫টি সেরা গেম যাখেলে টাকা ইনকাম করাযায় ও মস্তিষ্কের জন্য একটি চমৎকার ব্যায়াম

ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক

ব্রয়লার মুরগির ভালো দিকের পাশাপাশি ক্ষতিকর দিক লক্ষ্য করা যায়। এখন আমরা ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন জেনে নি ন ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে দিকসমূহ হলঃ
  • বয়লার মুরগিকে বড় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল ইনজেকশন দেওয়া হয়। এই ইঞ্জেকশন এ থাকা উপাদানগুলো মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে।
  • ফার্মে ব্রয়লার মুরগি দুই থেকে তিন মাস পোষা হয়। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বয়লার মুরগিকে স্বাস্থ্যবান দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিক সমূহ মানুষের শরীরে অনেক ক্ষতি সাধন করে।
  • ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগিকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিষাক্ত আর্সেনিক প্রয়োগ করা হয়। যখন আমরা খাবার হিসেবে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাই তখন এই আর্সেনিক আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করে।
  • ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগির মাংসে ব্যাকটেরিয়া থাকে। গবেষকরা বলেন ৯৬% ব্রয়লার মুরগিতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত অবস্থায় থাকে। তাই আমরা মাংস হিসেবে ব্রয়লার মুরগী খেলে এই ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরনের অসুখ সৃষ্টি করে।
  • ব্রয়লার মুরগির মাংস থাকা ক্রোমিয়াম আমাদের দেহে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ইত্যাদির মত অসুখ সৃষ্টি করে।
  • তাই বলা যায় ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা অনেক। আমরা বুঝে শুনে এবং পরিমাণমতো এই ব্রয়লারের মাংস গ্রহণ করব।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ব্রয়লার মুরগির মাংসের মত এর ডিমেও ক্ষতিকর দিক লক্ষ করা যায়। আমরা মনে করি, ডিম মানে পুষ্টিকর খাবার। আসলে অনেক সময় তার বিপরীত হয়ে থাকে। ব্রয়লার মুরগিকে বড় করার সময় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়।
তাই বলা চলে এর ডিমেও উক্ত কেমিক্যাল এর প্রভাব থাকে। এখন আমরা ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন জেনে নেই ক্ষতিকর দিক সমূহঃ
  • ব্রয়লার মুরগিকে বড় করার সময় অনেক বেশি পরিমাণে চর্বিযুক্ত ক্যাটল ফিড খাওয়ানো হয়। যার কারণে ব্রয়লার মুরগির ডিমেও প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে। যা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • ব্রয়লার মুরগির ডিমে স্বাদ দেশি মুরগি অথবা অন্যান্য মুরগির ডিম থেকে কম হয়। যার কারণে অনেকে এ ডিম পছন্দ করে না।
  • ব্রয়লার মুরগির ডিমে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে থাকে। যার কারণে সিদ্ধ না করে এই ডিম ভেজে খাওয়াই উত্তম।
  • ব্রয়লার মুরগির ডিমে অন্যান্য মুরগির ডিমের তুলনায় পুষ্টিগুণাগুণ কম থাকে। যার কারণে এটি আমাদের শরীরের জন্য তেমন পুষ্টি সমৃদ্ধ নয়।
  • ব্রয়লার মুরগির ডিম খেলে এলার্জির সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা এই বয়লার মুরগির ডিম খেলে তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন  বড়দের মাম্পস হলে কি করণীয়-মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
পরিশেষে বলা যায়, যদি আমাদের ব্রয়লার মুরগির ডিম খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়, তবে ব্রয়লার মুরগির ডিম না খাওয়াই ভালো। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই ব্রয়লার মুরগির ডিম যাচাই-বাছাই করে নেওয়া উত্তম।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার অপকারিতা

আমরা আগে জেনেছি ব্রয়লার মুরগী খেলে আমাদের শরীরের কি কি ধরনের সমস্যা হয়। ব্রয়লার মুরগি আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির মাংস খেলে প্রায় ২০ ধরনের রোগ মানবশরীরে দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি ব্রয়লার মুরগির মাংস না খাওয়া। ব্রয়লার মুরগির মাংস খেলে নিম্নোক্ত সমস্যা গুলো হতে পারেঃ
  • মানবশরীরে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
  • ব্রেন টিউমার হতে পারে।
  • দেহের ইমিউনো সিস্টেম কে নষ্ট করে।
  • ফুড পয়জনিং সৃষ্টি করে।
  • প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে।
  • ডায়াবেটিস ও হার্টের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।
  • দেহে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা, ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা, ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক, ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন।
আমরা যাই খাই না কেন তার পূর্বে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। আমরা সঠিক খাবার খাচ্ছি তো। এই খাবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে না তো ইত্যাদি ভেবে তারপর আমাদের খাবার খাওয়া উচিত। সবথেকে ভালো হয় যদি নিজ বাড়িতে শাকসবজি উৎপাদন করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি টাটকা খাবার খেতে পারবেন।
আমরা এই রকম আরো মূল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি। প্রতিনিয়ত পোস্ট পড়তে আমাদের পেজ ফলোও করুন এবং সবসময় আমাদের পাশে থাকুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.