এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে ৫টি অজানা তথ্য জেনে নিন
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে ৫টি অজানা তথ্য জেনে নিন
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে ৫টি অজানা তথ্য
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
- প্রথমত আমাদের গাছ থেকে নিমপাতা পেড়ে নিতে হবে।
- পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- এরপর কড়া রোদে ভালোমতো শুকিয়ে নিতে হবে।
- পাটায় পিষে নিম পাতার গুড়া তৈরি করে নিতে হবে।
- এরপর তা কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
- আমাদের এক চা চামচ এর মোট তিন ভাগের একভাগ মত নিম পাতার গুড়া নিতে হবে।
- এরপর এক চা চামচ ভুসি নিয়ে একটি গ্লাসে ৩০ মিনিট এর মত ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- এরপর সকালে খালি পেটে, দুপুরে এবং রাত্রেবেলা এই মিশ্রণ খেতে হবে।
- এভাবে একটানা একমাস খেলে আমাদের শরীরের এলার্জি অনেকটাই কমে যাবে।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- আমরা নিমপাতা গুঁড়ো করে তা পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারি। এই পেস্ট মলমের মত আমাদের চুলকানি যুক্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারি।
- যদি চুলকানির মাত্রা অনেক বেশি হয় তাহলে আমরা নিমপাতা দিয়ে গোসল করতে পারি।
- নিমপাতা দিয়ে এক ধরনের তেল তৈরি করা যায়। আমাদের চুলকানিবা চর্মরোগের আমরা এই তেল ব্যবহার করতে পারি।
- যদি আমরা আমাদের রক্ত বিশুদ্ধ করতে চাই তাহলে নিম পাতার চা এর ভূমিকা অপরিসীম। নিম পাতার চা আমাদের রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং বিভিন্ন ধরনের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- নিম পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ আমাদের ত্বকে থাকা ব্রন অথবা অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের চুলকানি জাতীয় সমস্যা কে দূর করতে সাহায্য করে।
- নিম পাতা দিয়ে অ্যান্টিসেপটিক জেল তৈরি করা যায়। আমাদের চর্মরোগ বা বিভিন্ন সমস্যার জন্য আমরা এই জেল ব্যবহার করতে পারি।
- সরাসরি এবং খুব দ্রুত কাজ হওয়ার জন্য আমরা নিম পাতার রস খালি পেটে খেতে পারি।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
- প্রথমে আমাদের নিমপাতা ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তা পাটায় বেটে নিতে হবে। এই পেস্টটি ত্বকে এক ঘণ্টার মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
- ৩-৪ টি তুলসি পাতা, ২-৩ টি নিম পাতা, পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস দিয়ে একসাথে সবগুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর উক্ত মিশ্রনে হলুদ গুঁড়া যোগ করতে হবে। এবার তৈরিকৃত পেস্ট আমাদের ত্বকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট এর মত লাগিয়ে রাখতে হবে।
- গোলাপ জলের সাথে নিম পাতার গুড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেই পেস্ট আমাদের ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
- টক দই, বেসন এবং নিম পাতার গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে যে পেস্ট তৈরি হয় তা আমাদের মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
- মধুর সাথে নিমপাতা বাটা মিশিয়ে তা আমাদের ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- প্রথমে ২-৩ চা চামচ নিমের গুঁড়ো নিতে হবে।
- এরপর সামান্য পরিমাণ হলুদের গুড়ো নিতে হবে।
- এক চা চামচ পরিমাণ হুইপ ক্রিম নিয়ে তিনটি একসাথে ভালোমতো মিশাতে হবে।
- সামান্য পরিমাণ পানি যোগ করতে হবে।
- এবার এই প্যাকটি আমাদের মুখে বা ত্বকে ১০-১৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
- সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
- প্রথমে আমাদের তুলছে এবং নিম পাতার গুঁড়ো নিতে হবে।
- এরপর তার সাথে এক চা চামচ মধু এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো মেশাতে হবে।
- সামান্য পরিমাণে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
- এই পেস্টটি আমাদের মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
- সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- আমাদের প্রথমে ২-৩ চা চামচ নিমের গুঁড়ো নিতে হবে।
- এরপর তার মধ্যে ২-৩ চা চামচ পেঁপের রস নিতে হবে।
- যে পেস্ট তৈরি হবে তা আমাদের মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে।
- সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
- প্রথমে আমাদের পানি গরম করে নিতে হবে।
- এরপর উক্ত গরম পানিতে নিম পাতা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- সারারাত ভেজানোর পর উক্ত পাতা পিষে নিতে হবে।
- যে পেস্ট তৈরি হবে তা আমাদের চুলে ৩০-৪০ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
- সপ্তাহে ২-৩ বার এই প্যাক চুলে দিলে আমাদের চুল পড়া বা খুশকি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিমের পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে থাকে।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়।
- ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার করা হয়।
- ব্যথা বা পোলা ভাব কমাতে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়।
- দেহের ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়।
- চুল ভালো রাখতে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়।
- লিভার এবং কিডনের বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করতে এ নিমপাতা ব্যবহার করা হয়।
- গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
- শিশুদের রি সিনড্রোম এর মত সমস্যা দেখা দেয়।
- অনেক সময় অতিরিক্ত নিমের ব্যবহার ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।