Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে ৫টি অজানা তথ্য জেনে নিন

0 14

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে ৫টি অজানা তথ্য জেনে নিন

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে ৫টি অজানা তথ্য

প্রিয় পাঠক, আজকে আমাদের পোস্টের বিষয় হল নিম পাতার ব্যবহার। অনেকে জানতে চান এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, চুলকানি, ত্বকের যত্ন, তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে, চুল পড়া রোধে নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আজকে আমরা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব
চলুন জেনে নেই নিম পাতার বিভিন্ন গুণাগুণ সম্পর্কে।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

নিমগাছের পাতাকে ঔষধি পাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারন নিমগাছের পাতায় বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন থাকে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অনেক সময় আমরা বিভিন্ন অ্যালার্জি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি। যেমন- চিংড়ি, বেগুন, গরুর মাংস, হাসের মাংস ইত্যাদি।
এই খাবারগুলো খাওয়ার কারনে আমাদের দেহে চুলকানি বা অ্যালার্জি ভাব দেখা দেয়। আমাদের শরীর সেই সময় অনেক বেশি পরিমানে চুলকাতে থাকে। এই এলার্জি দূর করার জন্য আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকি। সেসব ঔষধ আমাদের শরীরে উপকারের পাশাপাশি নানা ক্ষতিসাধন করেও থাকে।
এখন আমরা জানবো প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে এলার্জি দূর করা যায়। এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার অপরিসীম। নিমপাতা কিভাবে আমাদের এলার্জি দূর করে এখন তা সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে নেই উপায় গুলো সম্পর্কে। প্রথমে আমাদের নিম পাতার মিশ্রণ বানাতে হবে। নিম পাতার এই মিশ্রণ বানানো পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হলো। পদ্ধতি সমূহ নিম্নরূপঃ
  • প্রথমত আমাদের গাছ থেকে নিমপাতা পেড়ে নিতে হবে।
  • পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
  • এরপর কড়া রোদে ভালোমতো শুকিয়ে নিতে হবে।
  • পাটায় পিষে নিম পাতার গুড়া তৈরি করে নিতে হবে।
  • এরপর তা কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
এখন আমরা জানবো উক্ত নিম পাতার গুড়া কিভাবে ব্যবহার করলে আমাদের শরীরের এলার্জি দূর হবে। চলুন জেনে নেই নিম পাতার গুড়ার ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে। পদ্ধতি সমূহ নিম্নরূপঃ
  • আমাদের এক চা চামচ এর মোট তিন ভাগের একভাগ মত নিম পাতার গুড়া নিতে হবে।
  • এরপর এক চা চামচ ভুসি নিয়ে একটি গ্লাসে ৩০ মিনিট এর মত ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • এরপর সকালে খালি পেটে, দুপুরে এবং রাত্রেবেলা এই মিশ্রণ খেতে হবে।
  • এভাবে একটানা একমাস খেলে আমাদের শরীরের এলার্জি অনেকটাই কমে যাবে।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর কারণে চুলকানির মত সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই চুলকানি থেকে নিরাময় পাবার জন্য আমরা অনেক সময় ওষুধ ব্যবহার করে থাকি। কিছু সময় উপকার পেলেও আমরা উক্ত ওষুধের সাইড ইফেক্ট আমাদের শরীরে দেখতে পাই। এ কারণে আমরা চুলকানি অথবা চর্মরোগ দূর করতে প্রাকৃতিক উপায় খুঁজে থাকি।
চুলকানির ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার করা যায়। কারণ নিম পাতায় প্রচুর ঔষধের গুনাগুন রয়েছে। একটু আগে আমরা এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার বা চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানবো। চলুন জেনে নেই চুলকানিতে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করা হয়। উপায় গুলো নিম্নরুপঃ
  • আমরা নিমপাতা গুঁড়ো করে তা পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারি। এই পেস্ট মলমের মত আমাদের চুলকানি যুক্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারি।
  • যদি চুলকানির মাত্রা অনেক বেশি হয় তাহলে আমরা নিমপাতা দিয়ে গোসল করতে পারি।
  • নিমপাতা দিয়ে এক ধরনের তেল তৈরি করা যায়। আমাদের চুলকানিবা চর্মরোগের আমরা এই তেল ব্যবহার করতে পারি।
  • যদি আমরা আমাদের রক্ত বিশুদ্ধ করতে চাই তাহলে নিম পাতার চা এর ভূমিকা অপরিসীম। নিম পাতার চা আমাদের রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং বিভিন্ন ধরনের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
  • নিম পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ আমাদের ত্বকে থাকা ব্রন অথবা অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের চুলকানি জাতীয় সমস্যা কে দূর করতে সাহায্য করে।
  • নিম পাতা দিয়ে অ্যান্টিসেপটিক জেল তৈরি করা যায়। আমাদের চর্মরোগ বা বিভিন্ন সমস্যার জন্য আমরা এই জেল ব্যবহার করতে পারি।
  • সরাসরি এবং খুব দ্রুত কাজ হওয়ার জন্য আমরা নিম পাতার রস খালি পেটে খেতে পারি।
আরও পড়ুন  7 Surprising Foods That Boost Bone and Joint Health Naturally
উক্তভাবে চর্মরোগ অথবা চুলকানিতে আমরা নিম পাতার ব্যবহার করতে পারি। নিমপাতা বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন এ ভরপুর থাকায় আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে থাকে।

তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার

ইতোপূর্বে আমরা এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার এবং চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানব। বিভিন্ন কারনে আমাদের ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে। আমাদের ত্বক এর নিচে থাকা সেবক নামক গ্রন্থি থেকে মুখে বের হওয়া অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়।
অনেক সময় মুখেরে তৈলাক্ত ভাব বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ এবং ঔষধ খাওয়ার ফলে সেরে যায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আমাদের শরীরে দেখা দেয়। এখন আমরা জানব প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে আমাদের নিমের ব্যবহার ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। কিভাবে তৈলাক্ত ত্বক দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার করব তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো। পদ্ধতিগুলো হলঃ
  • প্রথমে আমাদের নিমপাতা ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তা পাটায় বেটে নিতে হবে। এই পেস্টটি ত্বকে এক ঘণ্টার মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • ৩-৪ টি তুলসি পাতা, ২-৩ টি নিম পাতা, পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস দিয়ে একসাথে সবগুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর উক্ত মিশ্রনে হলুদ গুঁড়া যোগ করতে হবে। এবার তৈরিকৃত পেস্ট আমাদের ত্বকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট এর মত লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • গোলাপ জলের সাথে নিম পাতার গুড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেই পেস্ট আমাদের ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
  • টক দই, বেসন এবং নিম পাতার গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে যে পেস্ট তৈরি হয় তা আমাদের মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • মধুর সাথে নিমপাতা বাটা মিশিয়ে তা আমাদের ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন  নাপা এক্সট্রা এর সকল ক্ষতিকর দিক
উক্তভাবে আমরা নিম পাতার ব্যবহার করে আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে পারি।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

উপরে আমরা এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, চুলকানি ও তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা ব্রনের ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানব। পূর্বের মতই বলা যায় আমাদের ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া থাকার কারণে আমাদের ত্বকে ব্রণের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
এখন আমরা ব্রণ দূর করতে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে জানব। সেজন্য আমাদের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপঃ
হলুদ এবং নিম দ্বারা তৈরি ফেসপ্যাক
আমরা জানি, হলুদের বিভিন্ন ধরনের এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এছাড়া নিমেও বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন দেখা যায়। আমরা হলুদ এবং নিম দ্বারা তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমাদের যা যা করতে হবে তা হলঃ
  • প্রথমে ২-৩ চা চামচ নিমের গুঁড়ো নিতে হবে।
  • এরপর সামান্য পরিমাণ হলুদের গুড়ো নিতে হবে।
  • এক চা চামচ পরিমাণ হুইপ ক্রিম নিয়ে তিনটি একসাথে ভালোমতো মিশাতে হবে।
  • সামান্য পরিমাণ পানি যোগ করতে হবে।
  • এবার এই প্যাকটি আমাদের মুখে বা ত্বকে ১০-১৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
 
তুলসি ও নিম দ্বারা তৈরি ফেসপ্যাক
আমরা জানি, তুলছে একটি অ্যান্টিসেপটি গুণাগুন সমৃদ্ধ ঔষধি গাছ। তুলসীর সাথে নিম যোগ করে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করা যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপঃ
  • প্রথমে আমাদের তুলছে এবং নিম পাতার গুঁড়ো নিতে হবে।
  • এরপর তার সাথে এক চা চামচ মধু এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো মেশাতে হবে।
  • সামান্য পরিমাণে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
  • এই পেস্টটি আমাদের মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পেঁপে এবং নিমপাতা দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক
পেঁপে আমাদের ত্বক থেকে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দূর করার পাশাপাশি আমাদের নিস্তেজ ত্বককে সতেজ করে তোলে। পেঁপে এবং নিম পাতা ব্যবহার করে আমাদের ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপঃ
  • আমাদের প্রথমে ২-৩ চা চামচ নিমের গুঁড়ো নিতে হবে।
  • এরপর তার মধ্যে ২-৩ চা চামচ পেঁপের রস নিতে হবে।
  • যে পেস্ট তৈরি হবে তা আমাদের মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
উক্ত নিয়মগুলো মেনে আমরা চাইলে আমাদের ত্বকে থাকা ব্রণ অথবা তেলে ভাব দূর করতে পারি।

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

বিভিন্ন কারণে আমাদের চুলে অনেক সময় খুশকি, চুল পড়া, চুলের গোড়া ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং চুলের প্যাক ব্যবহার করে থাকি। এগুলো অনেক সময় আমাদের কাজে দিলেও বেশিরভাগ সময় ক্ষতিসাধন করে থাকে। এখন আমরা চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপায় কিভাবে নিম পাতার ব্যবহার করা যায় তার সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে নেই নিম পাতা চুলে কিভাবে ব্যবহার করবো।
  • প্রথমে আমাদের পানি গরম করে নিতে হবে।
  • এরপর উক্ত গরম পানিতে নিম পাতা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • সারারাত ভেজানোর পর উক্ত পাতা পিষে নিতে হবে।
  • যে পেস্ট তৈরি হবে তা আমাদের চুলে ৩০-৪০ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • সপ্তাহে ২-৩ বার এই প্যাক চুলে দিলে আমাদের চুল পড়া বা খুশকি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন  ইজিপল ২০ কিসের ঔষধ বিস্তারিত জেনে নিন

 

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা আগে জেনেছি, এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, চুলকানি, চুলের যত্নে, তৈলাক্ত ত্বক দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার অপরিসীম। নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে ঔষ্ধি গুনাগুন থাকে। নিম পাতার গুঁড়া চিনি বা মিসরির সাথে প্রতিদিন খেলে কাশির মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিনিয়ত নিম পাতার বড়ি খেলে আমাদের লিভার এবং হৃৎপিণ্ড বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে সুস্থ থাকে। নিম পাতার বড়ি আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নে, ব্রণের সমস্যা দূর করতে, দাঁতের যত্নে, চুলকানি ও পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিমের উপকারিতাঃ
  • নিমের পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে থাকে।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়।
  • ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার করা হয়।
  • ব্যথা বা পোলা ভাব কমাতে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়।
  • দেহের ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়।
  • চুল ভালো রাখতে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়।
  • লিভার এবং কিডনের বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করতে এ নিমপাতা ব্যবহার করা হয়।
নিমের অপকারিতাঃ
  • গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
  • শিশুদের রি সিনড্রোম এর মত সমস্যা দেখা দেয়।
  • অনেক সময় অতিরিক্ত নিমের ব্যবহার ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

পূর্বে আমরা এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, চর্মরোগ, চুলের সমস্যা, ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি উপকার হয়।প্রতিদিন খালি পেটে নিম পাতার রস সেবন করলে আমাদের রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। আমাদের হজম শক্তি বাড়ে। ডায়াবেটিস এর মত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এছাড়া আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ধ্বংস হয়ে যায়। প্রতিদিন সকালে নিমপাতার রস খেলে আমাদের পেটে থাকা গ্যাসের সমস্যা এবং পেট ব্যথা দূর হয়ে যায়। এছাড়া আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিম পাতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা নিম পাতার বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে জানলাম। এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, চুলকানি, ত্বকের যত্ন, তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে, চুল পড়া রোধে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানলাম। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্যগুলো পেয়েছেন।
আমরা এই ধরনের মূল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট প্রতিনিয়ত আপনাদের জন্য শেয়ার করে থাকি। প্রতিদিন পোস্ট করতে আমাদের পেজ ফলো করুন এবং সবসময় আমাদের সাথে থাকুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.