গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ
প্রিয় পাঠক, আজকে আমাদের পোস্ট জরায়ু সম্পর্কে। অনেকে জানতে চান গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ কি, জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয়, অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ু নিচে নেমে গেলে করণীয় কি ইত্যাদি সম্পর্কে। আজকে আমরা উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ভারী কাজ করা।
- পেটে চাপ পড়ে এমন কাজ করা।
- মল্মুত্র ত্যাগ করার সময় অতিরিক্ত প্রেশার দেয়া।
- দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া ।
- সন্তান প্রসবের সময় অতিরিক্ত চাপ দেয়া।
- অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে।
- মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে কিছু বের হয়ে আসার মত অনুভুতি হবে।
- যখন মেয়েদের মাসিক হবে তখন মাসিক এর পথ দিয়ে জরায়ু বের হয়ে আসা।
- পিঠে, কোমরে এবং সহবাসের সময় পিঠ ও কোমরে ব্যথা হলে।
- প্রচুর পরিমানে প্রসাব হওয়া।
- মহিলাদের স্রাবের রং সাদা বা লাল হওয়া।
কারণগুলো নিম্নরুপঃ
- নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাচ্চা প্রসব হয়ে যাওয়া।
- প্রসবে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেওয়া।
- জরায়ুতে সংক্রমন দেখা দেয়।
- মুত্র ত্যাগ এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভাগগুলো নিম্ন্রুপঃ
গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ

লক্ষণগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- যখন মিয়কাস প্লাগ বের হয়ে আসে। এই মিউকাস প্লাগ জরায়ু মুখ আটকে ধরে রাখে। মূলত প্লাগ এর কাজ হল জরায়ুকে বাইরের বিভিন্ন জীবাণু থেকে রক্ষা করা। যখন ভ্রুনের ইমপ্লান্ট শুরু হয়, তখন মিউকাস প্লাগ আস্তে আস্তে বের হয়ে আসতে থাকে। এটি বাচ্চা প্রসবের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
- গর্ভাবস্থায় জরায় মুখ খোলার আরেকটি কারণ হলো শিশু নিচের দিকে নামা। যখন জরায়ু মুখ খুলে যায় তখন গর্ভে অবস্থানকারী বাচ্চা আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। এই সময় মহিলাদের অনেক সাবধান থাকতে হয়।
- সারভিক্স এর মুখ প্রতিনিয়ত খুলতে থাকে। শিশু যে পথে জন্ম নেয় তাকে সারভিক্স বলা হয়। একজন গর্ভবতী মহিলার জরায় মুখ তখনই খুলে যায় যখন শিশু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- যখন জরায়ু মুখ খুলতে শুরু করে তখন বারবার প্রস্রাবের ইচ্ছা জাগে। এর কারণ যখন শিশু নিচের দিকে নেমে আসে, তখন উক্ত চাপ মহিলার মূত্র থলিতে গিয়ে পড়ে। যার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের বারবার প্রস্রাবের বেগ আসে।
- যখন জরায়ু মুখ খুলতে শুরু করে, তখন জরায়ুর পেশিতে ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। কারণ এ সময় জরায়ুর চারিদিকের পেশিগুলো প্রসারিত হতে শুরু করে।
- একজন গর্ভবতী নারীর জরায়ু মুখ খোলার সময় তার দেহের বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্ট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এ সময় মহিলাদের দেহ থেকে রিলাক্সির নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোন হাড়ের জয়েন্টের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং শরীরে আরামের অনুভূতি জাগায়।
- জরায়ু মুখ খোলা বা বাচ্চা প্রসবের সময় একজন মহিলার অ্যামনিওটিক পর্দা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তার কোন রং অথবা গন্ধ থাকে না। এ অবস্থায় বুঝে নিতে হবে বাচ্চা প্রসবের সময় খুব নিকটে।
জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয়
জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি করতে হবে
এছাড়া যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা হলঃ
- যখন সন্তান প্রসবের সময় হবে তখন গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।
- বাচ্চা হওয়ার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
- প্রসব পরবর্তী সময়ে ভারী কাজ না করা।
- বাচ্চা হওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হাঁটাচলা শুরু করা।
- যদি একজন গর্ভবতী নারীর দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কাশি থাকে তবে তার চিকিৎসা করানো।
অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ু নিচে নেমে গেলে করণীয়
কাজগুলো হলোঃ

জরায়ু নিচে নেমে গেলে ব্যায়াম
ব্যায়াম গুলি হলঃ
- বসে বসে থেকে কোগেল ব্যায়াম করা।
- একটু দ্রুত কোগেল ব্যায়াম করা।
- গর্ভবতী মহিলার পায়ের তালু মেঝেতে রাখতে হবে এবং সোজা হয়ে বসে থাকতে হবে। এ সময় নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। এরপর স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে।
- হাত দিয়ে পেট তুলে ধরা বা ধরে রাখা। এভাবে করলে জরায়ু তার ঠিক অবস্থানে চলে আসে।
- গর্ভবতী মহিলার মধ্যচ্ছদা দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। এভাবে পেটের পেশী ও লিগামেন্ট শক্ত হয়। এর ফলে জরায়ু জায়গা মত অবস্থান করে।