Rajshahi IT BD
Information based blog for new generation
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে বিস্তারিত জানুন

0 29

ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে বিস্তারিত জানুন

ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে

আজকে আমাদের পোস্ট এর মুল বিষয় হলো ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে তা সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের পোস্ট এ আমরা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ, ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের লক্ষণ, গলায় ক্যান্সারের লক্ষণ, লিম্ফ নোড ক্যান্সারের লক্ষণ, লিভার ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ ইত্যাদি সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

তাহলে চলুন জেনে নেই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এর লক্ষন এবং প্রতিকার সম্পর্কে।

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে এবং টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা একটু পরে জানবো। এখন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে জানবো। আমাদের দেহে কোষ বিভাজন যখন অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকে, তখন দেহের বিভিন্ন অংশে টিউমার এর মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ক্যান্সার কোষ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় পুরাতন কোষ মরে যায়। মরে যাওয়া কোষের স্থানে পচে যাওয়া শুরু হয়। এইভাবে ক্যান্সার আমাদের সারা দেহে বাড়তে থাকে। একসময় ক্যান্সার এ আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়। এখন চলুন জেনে নেই ক্যান্সার এর বিভিন্ন ধরনের লক্ষন সম্পর্কে। লক্ষনসমুহ নিম্নরুপঃ
  • শরীরে অনেক বেশি ক্লান্তি চলে আসে।
  • ক্ষুধার পরিমান অনেক বেশি কমে যায়।
  • শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চাকা হয়ে যায় বা ফুলে যায়।
  • কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়, যা দীর্ঘ দিন অবস্থান করে।
  • ডায়রিয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
  • মলত্যাগের সময় মলের সাথে রক্ত বের হয়।
  • কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
  • শরীরে সবসময় ঠান্ডা লেগে থাকে।
  • শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হয়ে থাকে।

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা একটু পরে জানবো। এখন আপনাদের সামনে ব্লাড ক্যান্সার এর রোগীর বাচার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা মনে করেন ক্যান্সার হলে আমাদের আর বাচার সম্ভাবনা নেই।
এই বিষয়টি ১০০% সত্য না হলেও কিছুটা ভুল ধারনা থেকে যায়। কারন ক্যান্সার হলে আমাদের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও রোধ করা যায়। তবে মৃত্যু বিষয়টা সম্পূর্ণটাই সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করে।
যদি আমাদের ক্যান্সার এর মাত্রা অনেক বেশি হয়ে থাকে, তবে আমরা মৃত্যুর অনেক নিকটে রয়েছি। আর যদি আমাদের ক্যান্সার এর মাত্রা একটু কম থাকে, তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সারভাইভ করা যায়। এখন চলুন জেনে নেই ব্লাড ক্যান্সার হলে একজন ব্যক্তির বাচার আশা কতটুকু থাকে তা সম্পর্কে।
  • যাদের রক্তে লিউকোমিয়ার হার অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য বাচার হার ৮৫% এর বেশি।
  • যাদের রক্তে মাইলজেনাস লিউকোমিয়ার হার অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য বাচার হার ৫৫-৭৫% এর মত।
  • যাদের রক্তে মাইলোমেনসাইটিক লিউকোমিয়া কেবল শুরুর দিকে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য বাভার হার ৫০%
আরও পড়ুন  মাথার চুল পড়ার সমস্যা সমাধান করুন সহজ উপায়ে
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ

পূর্বে আমরা ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে তা সম্পর্কে জেনেছি। একটু পরে আমরা টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে জানবো। এখন চলুন জেনে নেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে। ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে মহিলাদের ব্রেস্ট এ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে কোষ বিভাজন শুরু হয় এবং ক্যান্সার এর সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে সেখান থেকে পচন ধরে এবং পুরো শরীরে তা ছড়িয়ে যায়। তাই শুরুর দিকে এই ব্রেস্ট ক্যান্সার এর চিকিৎসা করা উচিত। এখন আপনাদের সাথে ব্রেস্ট ক্যান্সার এর লক্ষন নিয়ে আলোচনা করবো। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
  • স্তনের বিভিন্ন অংশে ফুলে যায় এবং চাকা চাকা সৃষ্টি হয়।
  • স্তনের আকারে পরিবর্তন ঘটে থাকে।
  • স্তন বৃন্ত থেকে রক্ত বের হয়।
  • স্তনের চারিপাশে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
  • স্তনের বিভিন্ন জায়গায় মাংস ফুলে গোটা হয়ে যায়।

টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে তা সম্পর্কে পূর্বে আমরা জেনেছি। এখন আমরা টন্সিল এর ক্যান্সার সম্পর্কে জানবো। আমাদের গলায় ক্যান্সার কোষ অতিরিক্ত পরিমানে বেড়ে গেলে টনসিল ক্যান্সার দেখা দেয়। এখন চলুন জেনে নেই গলাতে ক্যান্সার হওয়ার বিভিন্ন কারন সম্পর্কে। কারনগুলো নিম্নরুপঃ
  • ধুমপান বা অতিরিক্ত পরিমানে তামাক ব্যবহারের ফলে আমাদের গলায় ক্যান্সার হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত পরিমানে এলকোহল পান করার ফলে আমাদের গলায় ক্যান্সার কোষ বেড়ে যায় এবং ক্যান্সার এর সৃষ্টি হয়।
  • অনেকে আছেন যারা সহবাস করার সময় মুখ দিয়ে যোনিতে কাজ করতে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে গলায় ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ক্যান্সার এর ঝুকি বেড়ে যায়।
  • ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের গলায় ক্যান্সার দেখা দেয়।
  • পরিবেশগত বিভিন্ন কারনে আমাদের গলায় ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এতক্ষন আমরা গলার ক্যান্সারের বিভিন্ন কারন সম্পর্কে জানলাম। এখন চলুন জেনে নেই গলাতে ক্যান্সার হলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের লক্ষন দেখা দেয় তা সম্পর্কে। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
গলা লাল হয়ে থাকে।
  • গলাতে সাদা বা অনেক সময় হলুদ দাগ দেখা যায়।
  • খাবার খাওয়ার সময় আমাদের গিলতে সমস্যা দেখা দেয়।
  • ঘন ঘন জ্বর হয়। যা অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।
  • আমাদের কন্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।
  • সবসময় পেটে ব্যথার মত সমস্যা লেগে থাকে।
  • মাথাব্যথার মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পেটের বিভিন্ন সমস্যা, বমি, খাবার গিলতে অনীচ্ছা দেখা যায়।
আরও পড়ুন  ক্যামেরার ব্যবহার, আধুনিক যুগের একটি অপরিহার্য ডিভাইস

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের লক্ষণ

পূর্বে আমরা টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের লক্ষন সম্পর্কে জানবো। গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হলে আমাদের পেটের অভ্যন্তরে ক্যান্সার কোষ এর পরিমান বাড়তে থাকে। এর ফলে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এর লক্ষনগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
  • আমাদের বুকে প্রায় সময় জ্বালাপোড়া করে।
  • পেটের ওপরে সবসময় ব্যথা হতে থাকে।
  • কোনো কারন ছাড়াই বমি শুরু হয়।
  • খাবার খেতে অনীহা চলে আসে।
  • আমাদের দেহের ওজন হঠাত করে অনেকটা কমে যায়।
  • জন্ডিস এর মত অসুখ সৃষ্টি হয়।
  • খাবার গিলে খেতে কষ্ট ভোগ করতে হয়।
  • পায়খানা করলে তার সাথে কালো রঙের রক্ত বের হয়।

গলায় ক্যান্সারের লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে তা সম্পর্কে আমরা পূর্বে জেনেছি। এখন আমরা গলায় ক্যান্সার হলে কোন লক্ষন দেখে বুঝবো তা সম্পর্কে জানবো। গলায় ক্যান্সার হলে আমাদের গলার অভ্যন্তরে ক্যান্সার কোষ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকে এবং সেখানে মাংসপিন্ড তৈরি হতে থাকে।
যার কারনে আমাদের গলার কিছু অংশে মাংস পচে যায়। এভাবে আমাদের পুরো দেহে ক্যান্সার কোষ বংশ বিস্তার করতে থাকে। নিম্নে গলার ক্যান্সার এর বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
  • অনবরত আমাদের গলায় ব্যথা হতে শুরু করে।
  • খাবার খাওয়ার সময় খাবার গিলতে গেলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
  • হঠাত করে শরীরের ওজন বেশি পরিমানে কমে যায়।
  • আমাদের কাশির সমস্যার সৃষ্টি হয়, যা দীরঘদিন পর্যন্ত আমাদের দেহে অবস্থান করে।
  • আমাদের কানে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
  • লিম্ফ নোড ক্যান্সারের লক্ষণ
  • হঠাত করে দেহের ওজন কমে যায়।
  • আমাদের হাড়ের বিভিন্ন অংশে ব্যথা শুরু হয় এবং তা অনেকদিন পর্যন্ত থেকে যায়।
  • হঠাত করে জ্বর আসে আমাদের শরীরে।
  • কাশির সমস্যা শুরু হয়।
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।
  • ত্বকে বিভিন্ন ধরনের চুলকানি দেখা যায়।
  • পেটে ব্যথা থাকে অনেক সময় পর্যন্ত।
  • শরীর অল্পতেই অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
  • রাতে ঘুমানোর পরে আমাদের শরীর থেকে অনবরত ঘাম বের হতে থাকে।
আরও পড়ুন  ফিটনেস ঠিক রাখার জন্যকার্যকরী কৌশল
গলায় ক্যান্সারের লক্ষণ

লিভার ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

কোনো ব্যক্তির লিভার ক্যান্সার হলে তার মৃত্যু অতি নিকটে। কারন সেই অবস্থায় বাচা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। গবেষকরা জানান, এক গবেষনায় তারা ৩৫৭ জন ক্যান্সার রোগীর পরীক্ষা করেছিলেন। যার মধ্যে মারা যায় ৫৬ শতাংশ এর মত। আর যাদের লিভার এ ক্যান্সার রয়েছে তাদের মৃত্যুর পূর্বে কিছু লক্ষন দেখা দেয়। চলুন সেই সম্পর্কে এখন জেনে নেই। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
  • চোখের পিউপিল তার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
  • কথা বলার সময় জড়তার সৃষ্টি হয়।
  • চোখে দেখার ক্ষমতা কমে যায়।
  • মাথা ভাজ হয়ে সামনের দিকে ঝুকে যায়।
  • কন্ঠনালীর সমস্যা দেখা দেয়।

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো। খাবারগুলো নিম্নরুপঃ
  • ফ্রিজে সংরক্ষন করা খাবার
  • ফরমালিন দেওয়া খাবার।
  • বিভিন্ন ধরনের তেলেভাজা খাবার
  • যেসকল খাবার সরাসরি আগুনের তাপে পুড়িয়ে খাওয়া হয়।
ক্যান্সার রোগী যেসব খাবার খেতে পারবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো। খাবারসমুহ নিম্নরুপঃ
  • নরম ভাত
  • ঠান্ডা তরকারি
  • শাকসবজি
  • ফলমূল
  • আনার
  • কচুশাক, লালশাক এবং ডাটাশাক
  • রসুন
  • বিভিন্ন ধরনের স্যুপ

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ, ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের লক্ষণ, গলায় ক্যান্সারের লক্ষণ, লিম্ফ নোড ক্যান্সারের লক্ষণ, লিভার ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি।
আমাদের প্রতিদিনের কিছু অনিয়মের কারনে আমাদের এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। আমরা আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবো। বাজে অভ্যাস বাদ দিবো, তামাকজাতদ্রব্য সেবন থেকে দূরে থাকবো। একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চলার অভ্যাস করবো।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়ছেন। প্রতিনিয়ত এই ধরনের মূল্যবান পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Leave A Reply

Your email address will not be published.